সৌদির তৈলভাণ্ডারে হামলা ভারতে বড় আশঙ্কার মেঘ ডেকে আনছে! দেশের অর্থনীতিতে সংকটের জোড়া ফলা
মসনদে বসতেই দ্বিতীয় মোদী সরকারের সামনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশের আর্থিক মন্দা। ইতিমধ্যেই দেশের বেকারত্ব থেকে আর্থিক বৃদ্ধির হারের কমতি চিন্তায় রেখেছে 'মোদী ২.০ ' সরকারকে।
মসনদে বসতেই দ্বিতীয় মোদী সরকারের সামনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশের আর্থিক মন্দা। ইতিমধ্যেই দেশের বেকারত্ব থেকে আর্থিক বৃদ্ধির হারের কমতি চিন্তায় রেখেছে 'মোদী ২.০ ' সরকারকে। এরমধ্যে সৌদি আরবের তৈলভাণ্ডারে হুথি বিদ্রোহীদের ড্রোন হামলা মোদী সরকারের সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে পরোক্ষে, এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর এর নেপথ্যে রয়েছে বিশ্ব বাজারে তেলের দামের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি।
গোটা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কে ব্যবসায়ী মহল
সৌদি আরবের খুরাইস ও আবাকয়েস-এ আরামকো সংস্থার তৈল ভাণ্ডারে হামলার পর সৌদিতে প্রতিদিন ৫.৭ মিলিয়ন তেলের ব্যারলের ঘাটতি শুরু হয়েছে। যা বিশ্ব বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলেছে। এতে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ১৯ শতাংশ বাড়বে।যা ঘিরে বিভিন্ন মহলের ব্যবসায়ীদের সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।বিশ্বের ৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেলে ইতিমধ্যেই ঘাটতি শুরু হয়েছে। যা ভারতে সংকটের মেঘ ডেনে আনতে চলেছে।
ভারতে সৌদি হামলার প্রভাব
ভারতের তেলের চাহিদার ৮০ শতাংশই আসে আমদানী থেকে। সেই জায়গা থেকে সৌদির এই হামলা রীতিমতো চিন্তায় রেখেছে মোদী সরকারকে। প্রসঙ্গত, সৌদি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈল সরবরাহকারী দেশ। যেখানে থেকে ভারত অপরিশোধিত তেল ও গ্যাস সরবরাহ পেয়ে থাকে। এমন প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের তৈলভাণ্ডারে হামলা , বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে।
জোড়া সংকট মোদী সরকারের!
বিশ্ববাজারে তেলের দামের সাম্প্রতিক বৃদ্ধিতে ভারতের জিডিপিতে ০.৪-০.৫ শতাংশ ঘাটতির প্রভাব পড়তে পারে। যা মোদী সরকারের জন্য অত্যন্ত আশঙ্কার খবর। এদিকে, সৌদির ড্রোন হামলার ফলে ভারতের তৈল আমদানীর খরচ বাড়তে থাকবে। যার সঙ্গে সম্পর্কিত রয়েছে ডলারের প্রেক্ষিতে ভারতের টাকার দামের ওঠানামা। সবমিলিয়ে সংকটের ধারালো ফলার সামনে পড়তে পারে বিজেপি শাসিত সরকার। একদিকে, যখন বেকারত্ব, আর্থিক মন্দার থাবা কেন্দ্রকে জর্জরিত করে রেখেছে,তখন সৌদির এই হামলা বিজেপি সরকারের কপালে আরও ভাঁজ ফেলতে চলেছে। যার সম্ভাব্য প্রভাব উৎসবের মরশুম দেখতে চলেছে।
[জোট বাঁধলও আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে শিবসেনা-বিজেপির]
[ ১৮ অক্টোবরের মধ্যে অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট]