'সন্ত্রাসের দরজা' তকমা দিয়ে তবলিঘ জামাতকে ব্যান করল সৌদি আরব
'সন্ত্রাসের দরজা' তকমা দিয়ে তবলিঘ জামাতকে ব্যান করল সৌদি আরব
তবলিঘি জামাতদের নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল সৌদি আরব। ইসলামিক বিশ্বকে চমকে দিয়ে তবলিঘি জামাত গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল তারা। শুধু তাই নয়, তবলিঘি জামাতদের সন্ত্রাসবাদের দরজা বলেও অভিহিত করল তারা।
বিশ্বের অন্যতম বড় ইসলামিক গোষ্ঠী তবলিঘি জামাত। ২০২০ সালের মার্চ মাসে তাদেরই দায়ী করা হয়েছিল করোনা ছড়ানোর জন্য৷ অভিযোগ উঠেছিল, বিদেশ থেকে আগত তবলিঘি জামাত সদস্যরা দিল্লিতে জমায়েত করেছেন বলেই করোনা ছড়িয়েছে। সে নিয়ে অবশ্য বিতর্ক কম হয়নি৷ এই অভিযোগে সাম্প্রদায়িক অশান্তির সুড়সুড়ি দেখেছেন অনেকে। তবে সেসব এখন অতীত, এবার সেই গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সৌদি আরব।
ইসলামিক বিশ্বে বরাবরই কুলীনদের তালিকায় অন্যতম দেশ সৌদি আরব৷ ভারতবর্ষের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। প্রায় ১০০ বছর আগে ভারতবর্ষে ইসলামের শুদ্ধিকরণের আন্দোলনে মাঠে নেমেছিল তবলিঘি জামাত গোষ্ঠী। এবার সৌদির এই ব্যানের পর তাদের আন্দোলনও যে ধাক্কা খাবে, তা বলাই বাহুল্য। সৌদি আরবের দেশের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী আবদুল লতিফ আল শেখ এই ঘোষণা করেন৷ শুধু তাই নয়, পবিত্র জুম্মাবারের (শুক্রবার) নামাজে তবলিঘি জামাত নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন। প্রত্যেকটি মসজিদের ইমামকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ওঠে, সৌদি আরব তবলিঘি জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর বাকি দেশগুলি কী পদক্ষেপ নেবে৷ এই মুহূর্তে এই কথা সরাসরি বলা অসম্ভব তবে বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ মনে করছেন, সৌদির পথে হাঁটতে পারবে না ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো দেশ৷ সেই দেশগুলিতে তবলিঘি জনসংখ্যা অতিরিক্ত পরিমাণে রয়েছে।
তবে শুধু তবলিঘি জামাতদের নয়। দাওয়া নামের আরেকটি সংগঠনকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার৷ ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী ট্যুইটে লেখেন, 'মসজিদের ইমামদের নিজেদের ভাষণে বলা উচিত যে কীভাবে এরা সমাজের ক্ষতি করতে পারে। ঠিক কতটা বিপজ্জনক এরা৷'