রাশিয়াকে সমর্থনের অভিযোগ! যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মানবিক সাহায্য সৌদির
সৌদি আরব ইউক্রেনকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মানবিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে,
ওপেক সম্মেলনের পর বার বার আমেরিকা সৌদি আরবকে অভিযুক্ত করেছে। আমেরিকার তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধতে সৌদি আরব রাশিয়াকে সমর্থন করেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মানবিক সাহায্য করার ঘোষণা করল সৌদি। এই বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন ফোনে কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
সৌদি আরবের ভূমিকা
ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে সৌদি আরব প্রথম থেকেই সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে। সৌদি আরব রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছে। সৌদি মধ্যস্থতার জেরেই ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধবন্দিদের অদলবদল সহজ হয়েছে। সৌদি আরবের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রিয়াদ কোনও পক্ষকেই সমর্থন করেনি। দুই দেশের মধ্যস্থতা করার প্রথম থেকে চেষ্টা করছে সৌদি আরব। ভবিষ্যতেও করবে বলে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিল সলমন জানিয়েছেন।
আমেরিকার ক্ষোভ
সৌদি আরব প্রথম থেকে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও সম্প্রতি রাশিয়াকে সমর্থনের অভিযোগ করেছে আমেরিকা। সৌদি নেতৃত্বে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোক ওপেক সম্মেলনের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে আমেরিকা। আমেরিকার তরফে জানানো হয়, রাশিয়ার স্বার্থ দেখেই ওপেক সম্মেলনে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তেল উৎপাদন কমানোর জেরে সব থেকে বেশি লাভবান হবে রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে চাপে রাখতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আমেরিকা সহ পশ্চিমে দেশগুলো জারি করেছে। কিন্তু ওপেক সিদ্ধান্তের জেরে সেই নিষেধাজ্ঞাগুলো মূল্যহীন হয়ে যাবে বলেও আমেরিকার তরফে মন্তব্য করা হয়। অন্যদিকে আমেরিকা অভিযোগ করে, তেল উৎপাদন কমানোর প্রস্তাব রাশিয়ার থেকে এসেছে। রাশিয়ার পাশে দাঁড়াতে সৌদি আরব বাকি দেশগুলোকে বাধ্য করেছে। এর পরিনাম ভালো হবে না বলেও সৌদি আরবকে আমেরিকা হুমকি দিয়েছে।
ওপেক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো ওপেক সম্মেলন করে। সেখানে রাশিয়ার প্রতিনিধিও ছিল। সেখানে দৈনিক তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নভেম্বর থেকে ওপেকের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো তেল উৎপাদন কমিয়ে দেবে। সৌদি আরবের তরফে জানানো হয়েছে, এখানে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। বাণিজ্যিক কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু ওপেকের এই সিদ্ধান্তের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন করে তেলের দাম যে বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেজ্ঞরা জানিয়েছেন, তেল উৎপাদন কমানোর তিন সপ্তাহ থেকে প্রভাব বুঝতে পারা যাবে।