সৌদির সঙ্গে এবার ইরানেরও 'ধমক' পাকিস্তানকে! কাশ্মীর ইস্যুতে হম্বিতম্বির পর ইমরান ফের ব্যাকফুটে
সৌদি আরব আগেই জানিয়েছিল পাকিস্তানকে কাশ্মীর ইস্যুতে তারা আইওসির বৈঠকে কোনও কিছু করার সুযোগ দেবে না। এরপর সেই ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে যায়। সৌদির রাজপুত্রের কাছে পাকিস্তানের সেনা প্রধানকে পাঠিয়ে ইমরান খান ক্ষমা প্রার্থনা করাতে পাঠান। তবে বরফ গলেনি! এবার সৌদির সঙ্গে ইরানের ধমকের মুখে পড়ল ইসসলামাবাদ। প্রসঙ্গ সেই কাশ্মীর!

সৌদি আরব , ইরানের ধমক পাকিস্তানকে
মূলত , ২৭ অক্টোবর দিনটিকে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে ব্ল্যাক ডে ঘোষণা করতে চাইছিল। সেই দিন জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের পদার্পণের দিন হিসাবে পাকিস্তান দিনটিকে তুলে ধরতে চায়। এমন দাবি জানিয়ে ইরানে পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে একটি বার্তা যায় ইরানের প্রশাসনের কাছে। যাতে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দিনটি ব্ল্যাক ডে বলে ঘোষিত হয়। আর পাকিস্তানকে অবাক করে ইরান চূড়ান্ত ধমক দিয়ে প্রস্তাব বতিল করে। একই ঘটনা সৌদিতেও।

দুই শিয়া , সুন্নি অধ্যুষিত দেশের ধমকে ইসলামাবাদ
সৌদি আরব ও , ইরানর, দুই শিয়া ও সুন্নি অধ্যুষিত দেশ এবার পর পর পাকিস্তানকে কাশ্মীর ইস্যুতে কোণঠাসা করতে শুরু করল। এর আগে গোটা বিশ্বের ইসলাম দেশগুলির কাছে চিঠি পাঠিয়ে ভরাতর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে 'ইসলামোফোবিয়া' নিয়ে বার্তা দেন ইমরান। যা কার্যত 'ফ্লপ শো' হয়ে গিয়েছে এশিয়ার রাজনীতির দরবারে।

কেন সৌদি ও ইরান ক্ষুব্ধ পাকিস্তানকে নিয়ে!
প্রসঙ্গত, যেভাবে তুরস্কের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে পাকিস্তানের সম্পর্কের গভীরতা বাড়ছে, তা বাকি শক্তিধর ইসলাম দেশগুলি মেনে নিতে পারছে না। তাই মধ্যপ্রাচ্য়ের সৌদি ও ইরান একে অপরের চক্ষুশূল হলেও, পাকিস্তানর তোলা কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে হম্বিতম্বিকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে বারবার।

কেন পাকিস্তান তুরস্কমুখী!
প্রসঙ্গত, সন্ত্রাস ইস্যুতে FATF এর ধূসর তালিকা থেকে নিজেকে বাদ রাখতে তুরস্কের সাহায্য প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। আর সেই মর্মে আঙ্কারার কাছাকাছি আসে ইসলামাবাদ। ইমরানের যে চাল কার্যত বুমেরাং হয়ে গিয়েছে। কারণ , তুরস্ক আর পাকিস্তানের এই সখ্যতা মেন নিতে পারছে না আরব দুনিয়ার বাকি শক্তিধর দেশগুলি। ফলে স্বভাবসিদ্ধ ঘরানায় ফের বিপাকে ইমরানের কূটনৈতিক চাল।

পাকিস্তানের মানচিত্র থেকে পিওকে এবং গিলগিট বাদ দিল সৌদি আরব! ইমরানদের কোন ভাষায় কটাক্ষ আয়ুব মির্জার