আমেরিকা-রাশিয়ার মাঝে 'চিড়ে চ্যাপ্টা' হওয়ার ভয়! তবুও এগিয়ে এসে এস-৪০০ চুক্তি ভারতের
ভয় রয়েছে দু'দিকেই। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তোপের মুখে পড়ার। তা সত্ত্বেও মিত্র দেশ রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ বায়ুসেনা প্রতিরক্ষা সিস্টেম সংক্রান্ত চুক্তি করে ফেলল ভারত।
ভয় রয়েছে দু'দিকেই। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তোপের মুখে পড়ার। তা সত্ত্বেও মিত্র দেশ রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ বায়ুসেনা প্রতিরক্ষা সিস্টেম সংক্রান্ত চুক্তি করে ফেলল ভারত। এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতকে এক ধাক্কায় অনেকটা শক্তিশালী করে তুলবে। প্রতিবেশী চিনকে টক্কর দেওয়া তখন আরও সহজ হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ভারত সফরে এসেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের দুই দিনের ভারত সফরের মাঝেই শুক্রবার ৫ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তি সাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তি করলে ভারতকে ফল ভুগতে পারে বলে আমেরিকা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। তবে তাতে কর্ণপাত করেনি ভারত।
ভারতের চুক্তি সইয়ের পর প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি নয়াদিল্লিকে চুক্তি সই করার জন্য ওয়াশিংটনের কোপের মুখে পড়তে হবে? ঘটনা হল ভারতের এই চুক্তি দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক অবস্থানকে পাল্টে দিতে পারে। চিনের প্রভাব অনেকটা কমে আসবে সন্দেহ নেই।
চিনকে জব্দ করতে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। দুই দেশের উন্নত সম্পর্কের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তার পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে যে, ২০১৬ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রাশিয়ার নাক গলানোর বিষয়টি নিয়েও দুই দেশের দ্বন্দ্ব এখনও মেটেনি।
তবে এখানে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক কী হতে চলেছে তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকার CAATSA বা কাউন্টারিং আমেরিকাস অ্যাডভার্সারিজ থ্রু স্যাঙ্কশন অ্যাক্ট মোতাবেক ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমেরিকার। তবে ভারতের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেয় তা দেখার বিষয়।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে চিন রাশিয়ার কাছ থেকে ফাইটার প্লেন কেনায় আমেরিকার রোষে পড়েছে। ফলে এক্ষেত্রে কী হতে পারে তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের অবস্থান এক্ষেত্রে খুব স্পষ্ট। নয়াদিল্লি ওয়াশিংটনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখলেও দীর্ঘদিনের বন্ধু রাশিয়ার সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পর্ক খারাপ রাখতে রাজি নয়। স্বাধীনভাবে চলতে চাইছে ভারত। এক্ষেত্রে ভালো সম্পর্ক থাকলেও আমেরিকার সবকিছু মেনে চলতে হবে, সেটা ভারত কোনওমতেই মানতে রাজি নয়।