দীর্ঘদিনের গবেষণার ফসল রাশিয়ার করোনা টিকা, রোগ-প্রতিরোধে ৪ গুণ বেশি সক্ষম বলেও দাবি
দীর্ঘদিনের গবেষণার ফসল রাশিয়ার করোনা টিকা, রোগ-প্রতিরোধে ৪ গুণ বেশি সক্ষম বলেও দাবি
গোটা বিশ্বজুড়েই যখন করোনার দাপট ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে, তখনই নির্ধারিত সময়সীমার আগেই করোনার প্রথম ভ্যাকসিন নিয়ে আসে রাশিয়া। রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি করোনা সংকটকালে আশার আলো দেখালেও, বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দানা বেঁধেছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। এবার এমনই কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও সুরক্ষা নিয়ে মুখ খুলল মস্কোর গামালায়া রিসার্চ ইন্সটিটিউট।
এত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন প্রস্তুতি কীভাবে সম্ভব?
রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এই ভ্যাকসিনকে জনসাধারণের উপর প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়ার সাথে সাথেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। এবার রাশিয়ার একটি রাষ্ট্রায়াত্ব সংবাদ মাধ্যম স্পুটনিক, গামালায়া রিসার্চ ইন্সটিটিউটের উপ-গবেষণা পরিচালক ডেনিস লোগুনভকে ভ্যাকসিনের তড়িঘড়ি আবিষ্কারের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেসাবাদ করলে তিনি জানান,প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সফল ভাবে শেষ হওয়ার পর, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও সুরক্ষা সম্পর্কে যথাযথ অধ্যয়ন করা হয়েছে।
আচমকা নয় চার দশকের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই তৈরী হয়েছে ভ্যাকসিন
সর্বাগ্রে ভ্যাকসিন আনলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা 'হু'- এর থেকেও কোনও আশাব্যঞ্জক মন্তব্য পায়নি রাশিয়া। এদিকে কম সময়ে ভ্যাকসিন আনার অভিযোগকে তুড়ি মেরে লোগুনভ জানান, " এটা বললে ভুল হবে আমরা খুব তাড়াহুড়োয় এই ভ্যাকসিন তৈরী করেছি। দীর্ঘ চার দশক অ্যাডেনোভাইরাল ভেক্টর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছে গামালিয়া। এর মাধ্যমে ৫ম এবং ২৬ তম সিরোটাইপ ভেক্টর উভয়ের ভিত্তিতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে অ্যাডেনোভাইরাল ভেক্টর-ভিত্তিক টিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই তৈরী হয়েছে স্পুটনিক-ভি।
বিশেষ কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সফল প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল
এদিকে স্পুটনিক-ভি-র প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সফল ভাবে শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন রুশ বিজ্ঞানীরা। প্রথম ধাপে যে সব স্বেচ্ছাসেবক এই টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন বলেও বিজ্ঞানীদের দাবি। একইসাথে কারও শরীরেই ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। প্রথম ধাপে যাদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়েছিল তাঁদের বেশির ভাগই সেনাবাহিনীর সদস্য। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রত্যেকেই ছিল ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী। প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেন যথাক্রমে ৩৮ ও ৭৬ জন।
অক্টোবরেই পুরো দেশে টিকাকরণ
গত ১১ অগস্ট রাশিয়া ঘোষণা করে, বিশ্বে প্রথম করোনার টিকা নিয়ে আসছে তারাই। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজের মেয়ের শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করে জানান মানুষের শরীরে এই টিকা সর্বত ভাবে সুরক্ষিত। ইতিমধ্যেই, রাশিয়ার বিপুল পরিমানে ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, অক্টোবরের শেষেই পুরো দেশে টিকাকরণ ও টিকা নিয়ে প্রচার শুরু করবে রাশিয়া।
ফোকাসে নির্বাচন! ভারতকে খুশি করতে এবার কাশ্মীর ইস্যুতে নয়া বয়ান 'টিম ট্রাম্প'-এর