১৩ জন যাত্রী নিয়ে সাইবেরিয়ার আকাশে নিখোঁজ রাশিয়ার বিমান, ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য
ফের খোঁজ মিলছে না রাশিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমানের। ১৩ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি ওড়ে। এরপর সাইবেরিয়ার আকাশে বিমানটির সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। এরপরেই বিমানটির খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
ফের মাঝ আকাশে নিখোঁজ বিমান। মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহি বিমান MH-370 এর স্মৃতি উস্কে এল। খোঁজ মিলছে না রাশিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমানের। ১৩ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি ওড়ে। এরপর সাইবেরিয়ার আকাশে বিমানটির সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এরপরেই বিমানটির খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিমানটির খোঁজে আকাশ পথে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। তবে প্রায় কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
মনে করা হচ্ছে, মাঝ আকাশে সেটি ১৩ জন যাত্রীকে নিয়েই সম্ভবত ভেঙ্গে পড়েছে বিমানটি। কিন্তু ঠিক কোথায় ভেঙে পড়েছে সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় একাধিক প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী সাইবেরিয়ার টমোস্ক বলে একটি অঞ্চলে শেষ বিমানটির সঙ্গে নেটওয়ার্ক ছিল। কিন্তু এরপর থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। এরপরে উদ্ধারকারী দলকে পাঠানো হয়।
টমোস্ক অঞ্চলে চলছে জোরদার তল্লাশি। বিমানটিতে ১৩ জন যাত্রী ছিল। ছিলেন বেশ কয়েকজন বিমান কর্মীও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঊল্লেখ্য গত কয়েকদিন আগেও একই ভাবে একটি রাশিয়ার বিমান মাঝ আকাশ থেকে হারিয়ে যায়।
দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি অভিযান শেষে বিমানটিকে খোঁজ পাওয়া যায়। জানা যায় মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ট্রুটি ধরা পড়ে। আর সেটি মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই ঘটনা। রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাশিয়াতে বিমান দুর্ঘটনার হার বেড়ে গিয়েছে।
কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়না বিমানগুলির। আর সেই কারণে এই দুর্ঘটনা। যদিও এর আগে এটিসিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনে রাশিয়া। আধুনিক ভাবে তৈরি করা হয়।
কিন্তু বিমানগুলির উপর বিশেষ নজর নেই। এমনটাই জানাচ্ছেন সে দেশের বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, বছরখানেক আগে রাশিয়ার একটি যাত্রীবাহি বিমান MH-370 নিখোঁজ হয়ে যায়। শতাধিক যাত্রী নিয়ে সেটি নিখোঁজ হয়ে যায়। ঘটনার কয়েক বছর কেটে গেলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি বিমানটির। কয়েক বছর তল্লাশি চালানোর পর বন্ধ অরে দিতে হয় অভিযান।