'ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের ফল ভুগবে পুতিন ও রাশিয়া', মিত্রশক্তিদের পাশে নিয়ে গর্জে উঠলেন জো বাইডেন
আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ব্রাত্য হয়ে থাকবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তিনি নিজে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছেন। ফলে এর ফল পুতিন এবং রাশিয়াকে ভোগ করতে হবে। রাশিয়াকে সবদিক থেকে কোণঠাসা করা হবে। যাতে তাৎক্ষণিকভাবে এবং সুদুরপ্রসারী ফল ভুগতে হয় রাশিয়াকে। ঠিক এভাবেই ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরে ভ্লাদিমির পুতিনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে যুদ্ধের ঘোষণা করে রাশিয়া। তারপর থেকে সারাদিন ধরে দুই দেশের সংঘর্ষের খবর সংবাদ শিরোনামে থেকেছে। এই আচমকা যুদ্ধ ঘোষণার খবরে সারাবিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলি নিন্দা জানায় একযোগে।
এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথমে জি৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরই তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বলেন, কোনও দেশ যদি রাশিয়ার এই আগ্রাসনের পক্ষে মত দেয় তাহলে তাদেরকেও সহজে ছেড়ে দেওয়া হবে না। রাশিয়া জোর করে এই যুদ্ধ বাঁধিয়েছে। নিরাপত্তার কোনও ঝুঁকি তাদের ছিল না। ভ্লাদিমির পুতিন সাম্রাজ্য বিস্তারে এই হামলা চালিয়েছেন।
Happening Now: President Biden delivers remarks on Russia’s unprovoked and unjustified attack on Ukraine. https://t.co/ukEDuddOhQ
— The White House (@WhiteHouse) February 24, 2022
রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এদিন চরম সমালোচনা করলেও ওয়াশিংটনের তরফে কোনও মার্কিন সেনাকে সেখানে মোতায়েন করা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ন্যাটোর দখলে থাকা এলাকাকে চূড়ান্তরূপে রক্ষা করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং জাপান মিলে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে বৈঠক করে। এবং কড়া পদক্ষেপের পক্ষে মত দেয়। জি৭ গোষ্ঠীভুক্ত সবকটি দেশই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে সায় দিয়েছে বলেও বাইডেন জানিয়েছেন। এবং একইসঙ্গে তিনি জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে তাঁরা রয়েছেন। এদিন জো বাইডেন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক সমাজের ব্রাত্য করার পথে তারা হাঁটছেন।
In response to President Putin's unprovoked aggression against Ukraine, the United States, along with Allies and partners, is imposing severe and immediate economic costs on Russia.
— The White House (@WhiteHouse) February 24, 2022
Read more: https://t.co/L83Q2uFwKx pic.twitter.com/kpxfNmQvxM
অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়াকে প্যাঁচে ফেলা হবে। যাতে তৎকাল এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাশিয়ার অর্থনীতিতে পড়ে। রাশিয়ার আরও চারটি ব্যাঙ্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাশিয়ার উচ্চবিত্ত শ্রেণিকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় ফেলা হয়েছে। রপ্তানিতেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এদিন জো বাইডেন জানিয়েছেন, আগামিদিনে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পথে তিনি হাঁটছেন না। এদিকে ইউক্রেনেও সেনা পাঠানো হচ্ছে না। তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জার্মানিতে অতিরিক্ত সাত হাজার সেনা ন্যাটো মোতায়েন করবে।