Russia-Ukraine War: যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে চাই! পুতিনের মন্তব্যে নয়া আশঙ্কা
মাসের পর মাস কেটে গেলেও এখনও থামছে না রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ! বরং ইউক্রেনের উপর গত কয়েকদিনে আঘাত আরও তীব্র করেছে মস্কো। আর এর মধ্যেই আমেরিকাতে উড়ে গিয়েছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেস্কি। আর সেই সফরে মার্কিন রাষ্ট্রপতি
Russia-Ukraine War Update: মাসের পর মাস কেটে গেলেও এখনও থামছে না রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ! বরং ইউক্রেনের উপর গত কয়েকদিনে আঘাত আরও তীব্র করেছে মস্কো। আর এর মধ্যেই আমেরিকাতে উড়ে গিয়েছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেস্কি। আর সেই সফরে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
আর অন্যদিকে যুদ্ধ নিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি'র সুর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখে। দ্রুত এই যুদ্ধের শেষ চান বলে স্পষ্ট বার্তা রুশ প্রেসিডেন্টের। আর এহেন হুঁশিয়ারি ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তবে এর মধ্যে কূটনৈতিক সমাধানের কথাও বলছেন পুতিন।
এই সংঘাতকে দ্রুত শেষ করা।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হল এই সংঘাতকে দ্রুত শেষ করা। আর সেজন্যে সবরকম চেষ্টা চালু রয়েছে বলে জানান ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এই যুদ্ধ যত দ্রুত শেষ হয় তা ভালো বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে পুতিনের এহেন মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে সংশয়! বিশেষ করে ইউক্রেন এবং তাঁর মিত্র দেশগুলি রাশিয়ার এহেন মন্তব্য সহজে বিশ্বাস করতে রাজি নয়। আর তা ইতিমধ্যে বক্তব্য দিয়েছে একাধিক দেশ।
মার্কিন সফরে উড়ে গিয়েছেন জেলেস্কি।
গত কয়েকদিন আগেই আমেরিকা ইউক্রেনকে 1.85 মার্কিন ডলারের সেনা সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আর এরপরেই মার্কিন সফরে উড়ে গিয়েছেন জেলেস্কি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, অনেকদিন আগেই আমেরিকা সফরে আসার কথা ছিল। কিন্ত্য বর্তমান অবস্থাতে জেলেস্কির এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, তাহলে রাশিয়া কিছুটা ইউক্রেনের সামরিক কৌশলের কাছে চাপে পড়েছে? যদিও জেলেস্কি জানিয়েছেন, তাঁরা শান্তি চান। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, রাশিয়ার শান্তির দিকে পদক্ষেপ নেবে আর সেজন্যে অপেক্ষা করা বোকামি হবে বলে মন্তব্য ইউক্রেনের।
১০ মাস কেটে গিয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের
বলে রাখা প্রয়োজন, প্রায় ১০ মাস কেটে গিয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের। গত সপ্তাহেই ইউক্রেনের উপর আঘাত দ্বিগুণ করেছে রাশিয়ান ফোর্স। গোটা শহর অন্ধকারে ডুবে। এই অবস্থায় পুতিনের আলোচনার বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শুধু তাই নয়, এই যুদ্ধ নিয়ে ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়েছে রাশিয়া। দেশের মধ্যে মানুষের ক্ষোভের মধ্যে পড়েছেন পুতিন। অন্যদিকে একাধিক দেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই অবস্থায় কি কিছুটা নরম হচ্ছেন পুতিন/ উঠছে প্রশ্ন। নাকি সমস্ত বিতর্ক উড়িয়ে শান্তির আড়ালে আঘাত আরও বাড়াবেন পুতিন? এমন সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছেন না সামরিক বিশ্লেষকরা।