হিরোশিমাতে নিক্ষেপ করা বোমার থেকেও ১২ গুণ শক্তিশালী! রাশিয়ার এই মিসাইলের ভয়ে কাঁপছে বিশ্ব
হিরোশিমাতে নিক্ষেপ করা বোমার থেকেও ১২ গুণ শক্তিশালী! রাশিয়ার এই মিসাইলের ভয়ে কাঁপছে বিশ্ব
russia ukraine war: প্রায় বছর ঘুরতে চলল, এখনও চলছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত। ইউক্রেনের একের পর এক শহরকে লাগাতার টার্গেট করছে রাশিয়া। আর এর মধ্যেই পরমাণু হামলার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট Vladimir Putin সে দেশের Nuclear Deterrent Force-কে অ্যালার্টে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আর এরপরেই পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে রাশিয়াকে বিরত থাকার কথা বলেছে আমেরিকা সহ বিশ্বের একাধিক দেশ।
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে
Nuclear Deterrent Force-কে অ্যালার্টে রাশিয়া রাখার পরেই বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশেষ করে যুদ্ধের জন্যে তৈরি থাকার কথাও জানানো হয়েছে এই ফোর্সকে। নিউক্লিয়ার ডিটারেন্ট ফোর্স মানে পারমাণবিক হামলা এবং এই ধরনের আক্রমণ থেকে রক্ষাকারী একটি স্কোয়াড। একেবারে পরমাণু মিসাইল হামলা করার জন্যেই এই ফোর্সকে তৈরি রাখা হয়েছে। এইন স্কোয়াডে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM) রাখা রয়েছে। যেগুলির রেঞ্জ ৫০০০ এরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই স্কোয়াডকে তৈরি রাখা মানে কার্যত যুদ্ধের প্রস্তুতিই।
অত্যাধুনিক ভার্সন RT-2PM2 Topol-M
আর এর মধ্যেই রাশিয়া নয়া একটি মিসাইল (ICBM) RS-24। যা পরমাণু ওভারহেড বহনে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এটি একটি অত্যাধুনিক মিসাইল। তিন স্তরে এটিতে জ্বালানি ভরা যায়। ২০০৭ সালে এটি প্রথম পরীক্ষা করা হয়। আমেরিকা এবং NATO-এর কাছে এই মিসাইল SS-29- হিসাবে পরিচিত । তবে এটির একটি অত্যাধুনিক ভার্সন RT-2PM2 Topol-M। যা কিনা একসঙ্গে ১০ warheads বহন করতে সক্ষম। একই সঙ্গে এটি অত্যন্ত শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম।
ভয়ঙ্কর শক্তিশালী রাশিয়ার এই মিসাইল
অত্যাধুনিক এই মিসাইল ১২০০ কিমি দূরে থাকা শত্রুকেও ধ্বংস করতে পারে। রাশিয়ার অস্ত্র ভান্ডারে এমন অনেক মিসাইল আছে বলেও জানা যাচ্ছে। আমেরিকা এবং ইউরোপের যে কোনও জায়গাতে এই মিসাইল আঘাত করতে পারবে রাশিয়ার এই মিসাইল। মনে করা হচ্ছে এই মিসাইল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটি অস্ত্র। মনে করা হচ্ছে জাপানের হিরোসিমা এবং নাগাসিকা শহরে যে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটনা হয়েছিল তা থেকেই নাকি ভয়ঙ্কর শক্তিশালী রাশিয়ার এই মিসাইল। যা আঘাত করলে একের পর এক শহর চোখের পলকে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা সামরিক পর্যবেক্ষকদের। এমনকি কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু এতে হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
যুদ্ধে রাশিয়া ক্রমশ পিছয়ে পড়ছে। মাসের পর মাস চলতে থাকা এই যুদ্ধ নিয়ে দেশের মধ্যেও ক্ষোভ বাড়ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে পুতিনের কার্যকলাপ ঘিরে বিশ্বজুড়ে তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা! এই অবস্থায় ভয়ঙ্কর এই পরমাণু মিসাইল নিক্ষেপ করবেন না তো? সেই জল্পনা তৈরি হচ্ছে।