রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ইউক্রেনের আরো এলাকা পুনর্দখল, জবাবে রুশ বাহিনীর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ইউক্রেনের আরো এলাকা পুনর্দখল, জবাবে রুশ বাহিনীর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপূর্ব দিকের আরো এলাকা পুনর্দখল করলেও রুশ বাহিনী রোববার থেকে পাল্টা আঘাত হানছে এবং ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে খারকিভের একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন ধরে যায়।
খারকিভ ও দোনেৎস্ক অঞ্চলের লক্ষ লোক এর ফলে বিদ্যুৎবিভ্রাটের শিকার হন। সুমি, দনিপ্রোপেট্রোভস্ক, এবং পোলটাভা অঞ্চলে বহু বাড়িঘর অন্ধকারে ডুবে যায়।
তবে খারকিভ শহরের মেয়র বলেছেন, সেখানে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ কিছু সময়ের জন্য আবার চালু হলেও রুশ গোলাবর্ষণের কারণে সংযোগআবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় তারা আরো ২০টি গ্রাম রুশ বাহিনীর হাত থেকে পুনর্দখল করেছে।
বিবিসি বাংলায় সম্পর্কিত খবর:
রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনকে কী কী অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে ছয় মাসে যা ঘটেছে, এরপর কী ঘটতে পারে
রাশিয়া এবং ইউক্রেন পরস্পরের বিরুদ্ধে যেসব ড্রোন ব্যবহার করছে
ইউক্রেনীয় বাহিনী দেশটির উত্তরপূর্বে খারকিভ অঞ্চলে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই রুশদের বিরুদ্ধে এক জোরালো এবং দ্রুতগতির অভিযান পরিচালনা করছে এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেছেন, তাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে এ পর্যন্ত তারা যে ভূখন্ডের দখল নিয়েছেন - তা ধরে রাখা।
রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকেই যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল - সেখান থেকে তারা সরে যাচ্ছে এবং বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ ফেলে গেছে।
ইউক্রেন বলছে, তারা এ পর্যন্ত ৩,০০০ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা পুনর্দখল করেছে। বিবিসি এসব দাবি যাচাই করতে পারেনি।
তবে ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র এসব খবরকে তেমন গুরুত্ব দেননি । তিনি বলেন, ইউক্রেন অভিযানের শুরুতেই যেসব লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল তা অর্জন না করা পর্যন্ত তাদের সামরিক কার্যক্রম চলবে।
রাশিয়া আরো বলছে, ইউক্রেন যে এলাকাগুলো পুনর্দখল করেছে সেসব এলাকায় তারা আঘাত হানছে। এর মধ্যে ইজিয়াম ও কুপিয়ানস্ক শহরও রয়েছে।
ইউক্রেনীয় বাহিনী শনিবার এ দুটি শহর পুনর্দখল করে। রাশিয়া শহর দুটি থেকে তাদের বাহিনীর সরে যাবার খবর নিশ্চিত করে বলেছে এর ফলে তারা নতুন করে দলবদ্ধ হবার সুযোগ পাবে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে বিপর্যয়ের প্রতিশোধ হিসেবে ইউক্রেনের বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত হানছে।