ময়দানে বাইডেন, ইউক্রেনকে অতিরিক্ত সমর্থনের আশ্বাস ন্যাটোর
ময়দানে বাইডেন, ইউক্রেনকে অতিরিক্ত সমর্থনের আশ্বাস ন্যাটোর
২৮ দিন ধরে ইউক্রেনের একাধিক জায়গায় ধ্বংসলীলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রায় এক মাস ঘুরতে চলল, এতদিন ধরে ধ্বংসলীলা চালানোর পরেও তা থামার লক্ষণ নেই। যুদ্ধের পারদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শরণার্থীদের ঢলও। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষকে একত্রিত হয়ে এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে সুর চরানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। রাশিয়ার আক্রমণ এর জেরে ইউক্রেন এখন বিপদের মুখে। তবে এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরো সাহায্যের আশ্বাস চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেন হামলার ২৮ দিন
ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া আক্রমণের এক মাস হতে চলেছে। আর মাস ঘোরার ঠিক আগের সময়ে ব্রাসেলসে উপস্থিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ন্যাটোর লিডাররা। "রুশ আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাতে আপনারা পথে নামুন", বিশ্ববাসীর কাছে বৃহস্পতিবার ঠিক এমনটাই আবেদন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পাশাপাশি তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ন্যাটোর সদস্যদের সঙ্গে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলবেন, কারণ রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য সকলের সাহায্যের প্রয়োজন বলে মত তাঁর।
অতিরিক্ত সমর্থনের আশ্বাস ন্যাটোর
ন্যাটোর সম্মেলনের আগে পশ্চিমের দেশগুলি থেকে আরও অস্ত্র চাইল ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে পারমাণবিক, রাসায়নিক হুমকির বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করবে ন্যাটো -র মিত্র দেশগুলি বলে খবর। কিয়েভকে 'অতিরিক্ত সমর্থন' করার আশ্বাস দিলেন ন্যাটো চিফ স্টলটেনবার্গ। বুধবার গভীর রাতে রাষ্টপতির অফিস থেকে একটি আবেগঘন ভিডিও করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। বিশ্ববাসীর কাছে তাঁর আবেদন, "মানুষের জীবন গুরুত্বপূর্ণ, সকলের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ এবং ইউক্রেনে শান্তি গুরুত্বপূর্ণ।" তাই বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে এক হতে নিবেদন করেছেন জেলেনস্কি।
সামরিক সাহায্যের ব্যবস্থা
বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি ইউক্রেনের জন্য সামরিক সাহায্যের ব্যবস্থা করেছে। জানা গিয়েছে,ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি আরও ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ইউক্রেনের উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই বড় আগ্রাসন। এই সময় মনে করা হয়েছিল ইউক্রেন সরকারের দ্রুত পতন ঘটবে। এক মাস ধরে মস্কোর আগ্রাসন ঘটলেও যথেষ্ট জবাব দিয়েছে ইউক্রেন।
হত্যালীলার হিসাব-কিতাব
রাশিয়া ২ মার্চ জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর ইউক্রেনের পাল্টা হামলায় প্রায় ৫০০ রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে, প্রায় ১৬০০ জন আহত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ন্যাটোর অনুমান, এখনও পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ৭০০০ থেকে ১৫০০০ রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে। পাশাপাশি ছয় রুশ জেনারেলকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া মাত্র একজন নিহত জেনারেলের কথা স্বীকার করেছে। তবে আগামী দিনে এই যুদ্ধে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অংশগ্রহণ করলে ফের পৃথিবীতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুহতে পারে কিনা সেই সিঁদুরে মেঘ দেখেই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ভিআইপি ছেড়ে পদ্মে তিন বিধায়ক, বিহারে সর্বশক্তিমান বিজেপি