
Russia-Ukraine War: ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে হাজার রুশ সেনার মৃত্যু! ভয়ঙ্কর যুদ্ধের প্রস্তুতি
দিন কয়েক আগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছিল রাশিয়া শীত যুদ্ধে টেক্কা দেবে ইউক্রেনকে। কিন্তু শীতের শুরুর মুখে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন রাশিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে একদিনে সর্বাধিক ১ হাজারের বেশি রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। তাদের আরও দাবি, এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধে রাশিয়ার ৭১, ২০০ সেনার মৃত্যু হয়েছে।

খাদ্য রপ্তানির চুক্তি থেকে সরল ইউক্রেন
এরইমধ্যে রাষ্ট্রসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের সঙ্গে হওয়ার খাদ্যশস্য রপ্তানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। গত জুলাইয়ে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধির পাশাপাশি তুর্কির মধ্যস্থতায় এই চুক্তি করেছিল রাশিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের কাছে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দাবি করেছিলেন। কেননা রাশিয়ার অভিযোগ ছিল, গ্রেন করিডরের মাধ্যমে ইউক্রেন ক্রিমিয়ায় জাহাজের ওপরে আক্রমণ করছে। শনিবার এই হামলা হয় বলে অভিযোগ রাশিয়ার। যদিও ইউক্রেনের তরফে রাশিয়ার এই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। মঙ্গলবার পুতিন, তুর্কি প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন, ক্রিমিয়ায় ন্যাভাল বেসে ড্রোন হামলার তদন্তের পরেই তিনি ফের শস্য চুক্তি লাগু করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে হাজার রুশ সেনার মৃত্যু
ইউক্রেনের তরযফে দাবি করা হয়েছে, ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ হাজারের বেশি রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এব্যাপারে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের তরফে দাবি করা হয়েছে। যেসব সেনার মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই রিজার্ভে ছিলেন। এছাড়াও যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর পরেও তাদের অস্ত্র সজ্জা পর্যাপ্ত ছিল না।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই সইগু জানিয়েছিলেন প্রায় ৪১ হাজার সংরক্ষিত সেনা ডাকা হয়েছে এবং তাঁদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়েছে। গত মাসে যুদ্ধক্ষেত্রে ধাক্কা খাওয়ার পরে প্রেসিডেন্ট পুতিন সংরক্ষিত সেনাবাহিনীকে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

রাশিয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দায় আমেরিকা
রাশিয়া থেকে শস্য রপ্তানি স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে আমেরিকাও। বিশ্ব ক্ষুধার্ত হলে, মানুষ ক্ষুধার্ত হলে মস্কো পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া।

ভয়ঙ্কর যুদ্ধের প্রস্তুতি
এদিকে রাশিয়া ভয়ঙ্ক শীত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউক্রেনের পরিকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করছে তারা। রাশিয়ার বাহিনী পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে এগোচ্ছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের বাহিনী খেরসন শহ এবং আপপাশের এলাকা পুনরুদ্ধারের দিকে এগোচ্ছে, পরিণতি ভয়ঙ্কর যুদ্ধ। খেরসন রাশিয়া অধিগৃহীত চারটি অঞ্চলের একটি। খেরসন ছাড়াও বাকি যে তিনটি অঞ্চল মস্কো রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেছে সেগুলি হল জাপোরিঝিয়া, দোনেৎস্ক, লুগানস্ক।
ইতিমধ্যেই কৃষ্ণসাগরে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে রাশিয়া কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের শহরগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এছাড়াও রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গিয়েছে।
আর ফ্রি নয়, টুইটারে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট হলেই খরচা করতে হবে গাঁটের কড়ি