Russia-Ukraine Crisis:চাপ বাড়াতে এবার ইউক্রেনের সমুদ্রবন্দর অবরোধ করল রাশিয়া
চাপ বাড়াতে এবার ইউক্রেনের সমুদ্রবন্দর অবরোধ করল রাশিয়া
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অষ্টমদিনে পড়ল। এর আগেই ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে বেমা হামলার লক্ষ্য বানিয়েছিল রাশিয়া। এবার আরও চাপ বাড়িয়ে রাশিয়ান বাহিনী বুধবার দুটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ইউক্রেনীয় সমুদ্রবন্দর অবরোধ করেছে৷ এর আগেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে রাশিয়া বোমাবর্ষণ চালিয়ে গিয়েছে৷ এবং কিয়েভের বাইরে বিশান সেনা দাঁড় করিয়ে রেখেছে। এদিকে, মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরও গভীর হয়েছে, বিশ্বের বড় অংশের রাষ্ট্র রাষ্ট্রসংঘে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে একমত হয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি দ্বিতীয় দফা আলোচনা আশা করছিলেন অনেকে৷ তবে দুই দেশ সহাবস্থানে আসতে না পারায় আলোচনার বিষয়টি স্পট নয়। গত সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর মস্কো প্রথমবারের মতো তার সামরিক হতাহতের কথা জানিয়েছে। মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলেছে দেশের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত হয়েছে এবং প্রায় ১৬০০ সৈন আহত হয়েছে।
জেলেনস্কির দেশ যদিও এখনও এরকম কোনও তালিকা প্রকাশ করেনি তবে দেশটি জানিয়েছে রাশিয়ার হামলায় প্রায় ২০০০ অসামরিক লোক মারা গিয়েছে ইউক্রেনে। দেশ জুড়ে একাধিক ফ্রন্টে যুদ্ধ চলছে, ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে যে আজভ সাগরের একটি বড় শহর মারিউপোল রাশিয়ান বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ রয়েছে৷ অন্যদিকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, খেরসনও রাশিয়ান বাহিমীর দ্বারা অবরুদ্ধ৷
অন্যদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী খেরসন সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে৷ যদি এটি সত্যি হয় তাহলে এটি এখনও পর্যন্ত রাশিয়ান বাহিনীর দখলে যাওয়া বৃহত্তম শহর হবে। কিন্তু এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার রাশিঅর দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, আমাদের মতে খেরসন হল এমন একটি শহর যারা লড়াই ফিরে দিতে পারে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন যে লড়াই চলাকালীন খেরসনের পরিস্থিতি নিয়ে তারা মন্তব্য করতে পারে না। তবে খেরসনের মেয়র ইগর কোলিখায়েভ স্বীকার করেছেন যে রাশিয়ান সৈন্যরা শহরে প্রবেশ করেছিল এবং শহরের প্রশাসন ভবনেও এসেছিল। তিনি আরও বলেছেন যে তিনি তাদের(রাশিয়ান সৈনদের) অসামরিক লোকদের গুলি না করতে এবং রাস্তা থেকে লাশ সংগ্রহ করার অনুমতি দিতে বলেছেন।