Russia-Ukraine Crisis:যুদ্ধ থামার ইঙ্গিত? জিংপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের পরেই বড় সিদ্ধান্ত পুতিনের
যুদ্ধ থামার ইঙ্গিত? জিংপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের পরেই বড় সিদ্ধান্ত পুতিনের
ভয়ঙ্কর হচ্ছে পরিস্থিতি! ইউক্রেনের আকাশে রুশ যুদ্ধবিমানের দাপাদাপি। মুহুমুহ ছুটে যাচ্ছে মিসাইল। রুশ মিসাইলের আঘাতে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ। দাউ দাউ করে জ্বলছে। আর এই ভয়ঙ্কর ছবি ভিডিও দেখে রীতিমত শিউড়ে উঠছে বিশ্ব। আর এই অবস্থায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বললেন চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিং। আজ শুক্রবার পুতিনকে ফোন করেন জিংপিং। দীর্ঘক্ষণ কথা হয় দুই শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের।
আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়
জানা গিয়েছে এই ফোনালাপে পুতিনকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়। এমনকি এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করতেও বেজিং রাজি বলে পুতিনকে নাকি জানিয়েছেন জিংপিং। এমনকি প্রয়োজনে ইউক্রেনের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। কার্যত গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনিও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেন। আর এরপরেই পুতিন-জিংপিং ফোনালাপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের পরিস্থিতিতে বদল ঘটেছে
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, জিংপিং জানিয়েছেন, প্রতি মুহূর্তে পূর্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতিতে বদল ঘটেছে। বলে রাখা প্রয়োজন, রুশ হামলায় সম্পূর্ণ ভাবে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। বিভিন্ন জায়গায় শুধু এখন কান্নার আওয়াজ আর ট্যাঙ্কের আওয়াজ। শুধু তাই নয়, বোমা গুলির আওয়াজে কার্যত কান পাতা দায় হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় রুশ-ইউক্রেনের মধ্যে চলা সঙ্কট আলোচনার মাধ্যমে মেটানো উচিৎ বলে জানিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। এমনকি ইউক্রেনের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সমঝোতার রাস্তায় রাশিয়া যাতে হাটে সেই বার্তাও চিনের তরফে দেওয়া হয়েছে মস্কোকে। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
পুতিনের আলোচনার প্রস্তাব
বলে রাখা প্রয়োজন, চিন এবং রাশিয়া খুবই কাছের দুই শক্তি। এমনকি সহযোগীও বটে। এখনও পর্যন্ত এই সংঘাতের চিন রাশিয়াকেই কার্যত সমর্থন জানিয়েছে। এমনকি এই বিষয়ে চিনের তরফে কোনও নিন্দা প্রকাশ করা হয়নি। তবে জিংপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের পরেই কিছুটা নাকি নরম হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানাচ্ছে, পুতিন আলোচনার বার্তা নিয়ে ইউক্রেনে প্রতিনিধি পাঠানোতে রাজি হয়েছেন। খুব শিঘ্রই পুতিনের টিম ইউক্রেনে যাবে বলে শোনা যাচ্ছে।
এই বার্তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ
যদিও এর কিছুক্ষণ আগেই শর্তসাপেক্ষে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। রুশ বিদেশমন্ত্রী Sergei Lavrov জানিয়েছেন, মস্কো এই অবস্থায় কিয়াভের সঙ্গে আলোচনায় রাজি রয়েছে। যদি ইউক্রেনের সেনা হাতিয়ার সরিয়ে রাখে তাহলেই এই আলোচনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন রুশ মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে Sergei Lavrov স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাশিয়া কখনই চায় না যে ইউক্রেনে "Neo-Nazis"-এর শাসন চলুক। আর এরপরেই এই বার্তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আলোচনায় বসার আহ্বান
অন্যদিকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলোদেমির জেলেনস্কি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেন। শুক্রবার একটি নতুন ভিডিয়ো বার্তায় জেলেনস্কি ওই আহ্বান জানান।