যুদ্ধে জেরে ইউক্রেনের অর্ধেকের বেশি শিশু বাস্তুহারা, ভয়ঙ্কর কথা জানাল জাতিসংঘ
যুদ্ধে জেরে ইউক্রেনের অর্ধেকের বেশি শিশু বাস্তুহারা, ভয়ঙ্কর কথা জানাল জাতিসংঘ
কথায় আছে 'শিশুরা সুন্দর মাতৃকোড়ে’! নিজের জন্মভূমিকে আমরা মায়ের সমানই বলে থাকি। যেখানে জন্ম হয়েছে, যার ওপর পা রেখে হাঁটতে শেখা, সেটা থেকে যদি কাউকে চলে যেতে হয়। তাঁর থেকে বেদনাদায়ক হয়তো আর কিছু হয় না। রাশিয়া ইউক্রেনের সংঘাতে এমনই অসহায় হয়ে পড়ল ইউক্রেনবাসী। যাদের দেখে চোখে জল ধরে রাখা খুব কঠিন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া তার অগ্রাসন শুরু করে দেয়। ইউক্রেনের অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পরে।
জাতিসংঘ কী জানাল
অর্ধেকের
বেশি
শিশু
বাস্তুহারা
হয়ে
পড়েছে,
এমনটাই
বৃহস্পতিবার
জানিয়েছে
জাতিসংঘ।
তাঁদের
থেকে
জানা
গিয়েছে,
প্রায়
একমাস
যাবত
যুদ্ধ
অব্যাহত।
যার
ফলে
ইউক্রেনে
আনুমানিক
শিশুর
সংখ্যা
৭.৫
মিলিয়ন।
তারমধ্যে
৪.৩
মিলিয়ন
শিশু
বাস্তুহারা।
১০
মিলিয়নের
বেশি
মানুষ-সহ
শিশু
ইউক্রেনের
যুদ্ধের
ফলে
তাদের
বাড়িঘর
ছেড়ে
প্রাণের
তাগিদে
অন্য
দেশে
চলে
যেতে
বাধ্য
হয়েছেন।
এই
নিদারুণ
কষ্টের
আওয়াজ
সত্যিই
কি
পৌঁছেছে
পুতিনের
কানে?
ক্যাথরিন রাসেল কী বললেন
ইউনিসেফের প্রধান ক্যাথরিন রাসেল জানান, প্রায় অনেক বছর বাদে এমন ঘটনা ঘটল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এই যুদ্ধের কারনে অনেক শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন এই ঘটনা কিন্তু আগামী প্রজন্মের জন্য দীর্ঘস্থায়ী পরিণতি হতে পারে। খুব মারাত্মক ঘটনা এটি। শিশুদের জীবন, সেই সঙ্গে নিরাপত্তা, সুস্থতা ও প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি সবই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। এই ঘটনার জেরে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে।
কত শিশু যুদ্ধে মারা গেছে
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই সংঘাতে ৮১ জন ইউক্রেন শিশু নিহত হয়েছেন। পাশপাশি ১০৮ জন শিশু আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা ঘটনার নিন্দা করে জানান , রাশিয়া ইউক্রেনের সংঘাত বেসামরিক অবকাঠামো ও মৌলিক পরিষেবাগুলিকে অনেকাংশে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
যুদ্ধের ফলে ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে ইউক্রেন
যুদ্ধবিধস্ত ইউক্রেনে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও অ্যাম্বুলেন্স-সহ স্বাস্থ্যসেবায় আঘাত হানা হয়েছে। তছনছ করে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনকে। সব মিলিয়ে মোট ৬৪ টি জায়গায় আক্রমণ করা হয়েছে। ইউক্রেনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউনিসেফ জানিয়েছে, সেই সঙ্গে ৫০০ টির বেশি স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি হয়েছে।
বাড়ছে শিশুদের ঝুঁকি
জাতিসংঘের শিশু সংস্থা অনুমান করে জানাচ্ছে, এখন প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মানুষ ভালো পানীয় জলের অভাব বোধ করছে। এখন ৬ বছর থেকে ২৩ বছর বয়সী মোট ৪ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি শিশুর সঠিক ও পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজন। সেই সঙ্গে তাঁর সতর্ক করে বলেন, ছোট শিশুদের দেওয়া পোলিও সহ হামের টিকা। শৈশবে এই টিকাগুলি না দিলে পরবর্তী সময়ে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে তাঁদের। অনেক জনাকীর্ণ এলাকায় নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য তাঁরা আশ্রয় নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। সে বিষয়ে তাঁরা সচেতন করেন।
ইউনিসেফের প্রধান কী বললেন
রাসেল বলেন, অনেকেই স্কুল, হাসপাতালে থাকার তাগিদে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে তাঁদের ওপর হামলা খুব খারাপ ও কষ্টদায়ক ঘটনা। মাত্র কয়েকদিনের যুদ্ধে সাজানো ইউক্রেন ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, শিশুদের শান্তি ও সুরক্ষা প্রয়োজন। তাদের ন্যায্য অধিকারের প্রয়োজন।