রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনায় সমাধান খোঁজার আবেদন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারত
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনায় সমাধান খোঁজার আবেদন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারত
২০ নম্বর দিনে পড়ল রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ। দু'দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারত আবার সোমবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ভারত মনে করে একটি জরুরি যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন রয়েছে৷ রাশিয়া-ইউক্রেনের সমস্ত শত্রুতার অবসানের জন্য শান্তি আলোচনার কথাও বলেছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখার সময় ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি আর রবীন্দ্র বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) বারবার জরুরি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। সংলাপ ও কূটনীতি ছাড়া আর কোনো পথ বাকি নেই বলেও স্পষ্ট করেন রবীন্দ্র।
তিনি নিজের বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন যে ইউক্রেনে যুদ্ধে ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আহত মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে এবং মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এদিন যুদ্ধ বিধ্বস্থ ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়ার কথা তুলে ধরে রবীন্দ্র বলেন, ভারত তার নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য পরিকল্পিত এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত, প্রায় ২২ হাজার ৫০০ ভারতীয় নিরাপদে বাড়ি ফিরেছে। তিনি আরও বলেন, ভারতীয়দের ইউক্রেন থেকে আমাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য আমরা আমাদের সমস্ত সহযোগীদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা,চাই শত্রুতা বন্ধ করার লক্ষ্যে দু'দেশ সরাসরি যোগাযোগ এবং আলোচনা করুক।
অন্যদিকে, ইউএনএসসির কাউন্সেলর এ অমরনাথ বলেছেন যে আর দেরি করার সময় নেই। তিনি সমস্ত আগ্রাসী গোষ্ঠীকে অস্ত্র বা জৈব অস্ত্র তৈরি ও প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন। আবার আর রবীন্দ্র, রাষ্ট্রসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং রাষ্ট্রগুলির সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়ার কথাও বলেন। তিনি ইউরোপে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা ওএসসিই-র ভূমিকারও প্রশংসা করেন এবং বলেন, ওএসসিই পূর্ব ইউক্রেনের সীমান্তের উভয় দিকে প্যাকেজ বাস্তবায়নের সুবিধার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যাইহোক, ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এবং এর ফলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সেখানে বিশেষ মনিটরিং মিশনের কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
ইউক্রেন
রাশিয়া
যুদ্ধ:
১৯তম
দিনে
যা
যা
ঘটেছে
তবে এই প্রথম নয় এর আগেও ভারত যুদ্ধে কোনও পক্ষই না নিয়ে নিজের মতো শান্তির বার্তা দিয়ে গিয়েছে৷ যদিও রাশিয়া এবং ইউক্রেন দু'দেশই ভারতের সমর্থনের সরাসরি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷ এমনকি খুবই গুরুত্বপূর্ণভাবে রাষ্ট্রসংঘে আমেরিকা ও মিত্র দেশগুলির তোলা প্রস্তাবেও কোথাও রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দেয়নি ভারত এমনকি আমেরিকার রক্ত চক্ষু ও প্রচ্ছন্ন হুমকিও এবারের যুদ্ধে ভারতকে ইনভলভ করতে পারেনি।