রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত: গঠনমূলক কূটনীতিই আশু প্রয়োজন, মত টিএস তিরুমূর্তির
ইউক্রেন
ও
রাশিয়ার
মধ্যে
সংঘাত
নিয়ে
চিন্তিত
বিশ্ববাসী।
কোনও
রকম
উত্তেজনা
মূলক
কাজ
না
করে
শুধু
মাত্র
আলোচনার
দ্বারা
এই
সমস্যাটির
সমাধান
করার
আবেদন
জানিয়েছে
ভারত।
UNSC
বা
জাতিসংঘ
নিরাপত্তা
পরিষদের
প্রতিনিধি
টিএস
তিরুমূর্তি
জানিয়েছেন,
এই
সংঘাতকে
ঠাণ্ডা
করতে
শান্ত
পরিবেশ
ও
গঠনমূলক
কূটনীতি
দরকার।
আমি
কূটনৈতিক
আলোচনার
মাধ্যমে
এই
সঙ্কটের
সমাধান
চাই।
টিএস তিরুমূর্তি আরও জানান, ইতিমধ্যে নয়াদিল্লিতে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সংকটের আওতায় থাকা অঞ্চলগুলিকে শান্ত থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সমস্যা সমাধানের জন্য মিনস্ক চুক্তি বাস্তবায়নের প্রয়োজন বলে তিনি জানান। সেই সঙ্গে তিনি এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন। মিনস্ক চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাই। সেই সঙ্গে বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার যাতে কোন ভাবে ক্ষতি না হয় সেদিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া সব পক্ষেরই দরকার। শান্ত ও গঠনমূলক কূটনীতি ও সময়ের প্রয়োজন।
তিনি দাবি করে জানান, দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য উত্তেজনামূলক কাজ এড়িয়ে চলাই ভালো। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই সঙ্কটের সমাধান করা উচিত। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। আর তার জন্যই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা উচিত।
ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ইউক্রেন থেকে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য এখনই কোনও পরিকল্পনা নেই। বড় কিছুর পরিবর্তে ভারতীয়দের সুরক্ষা থাকার বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। ভারত উত্তেজনাহীন ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কটের সমাধানের পথকেই সমর্থন করছে।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের ভারতীয় ছাত্রদের সঙ্গে কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাসের ছাত্ররা ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছে। তাঁরা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছেন। ভারতীয় নাগরিক বিশেষ করে ভারতীয় পড়ুয়াদের সাময়িকভাবে ওই সঙ্কট পূর্ণ দেশ যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নাগরিকদের বর্তমান সময়ে ইউক্রেনে ভ্রমণ এড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য ভারতীয় নাগরিক, ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপত্তা দেখা।
মুখপাত্র জানান, এখনই ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। কোন বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা এখনও করা হয়নি। এটি এও বলেন, ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে খুব কম সংখ্যক বিমান ছিল। চার্টার বিমান ছিল বলেও তিনি জানান। টেকসই কূটনৈতিক আলোচনার মধ্য দিয়ে উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি ও সমস্যার সমাধান করা উচিত।
ইতিমধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে ১ লক্ষ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। নৌ মহড়ার জন্য কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ন্যাটো দেশগুলির মধ্যে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে।