
Ukraine-Russia Conflict: আমি রাষ্ট্রপতি থাকলে ইউক্রেনে হামলা করতে পারত না রাশিয়া': ট্রাম্প
রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাত পুরো বিশ্বকে উত্তাল করে তুলেছে। শহর জুড়ে কার্যত ধ্বংসস্তূপ। রুশ সেনাদের হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনবাসী। যার জেরে চিন্তিত হয়ে পড়েছে ভারতও। রাশিয়া বিশেষত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ওপর হামলা চালিয়েছে। এখনও আক্রমন অব্যাহত । মারিউপোল ও ওডেসারের তীরে রাশিয়ান নৌবাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। ভয়ে শহর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেনবাসী। হাঙ্গেরিতে পালাচ্ছে অনেক মানুষ। অনেক দেশেই কিন্তু শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন। তা শোনেননি রুশ প্রেসিডেন্ট। এবার ১৮০ ডিগ্রীতে ঘুরে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কিন্তু রুশ আক্রমণকে ভয়াবহ বলে অভিহিত করেছেন, সেই করেছেন যুদ্ধের তীব্র নিন্দাও। আর এই নিন্দনীয় ঘটনার জন্য তিনি জো বাইডেনকে একহাত নিলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প কী বললেন
প্রাক্তন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু বাইডেন প্রশাসন সহ জো বাইডেনকে আঘাত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমি যদি এখন রাষ্ট্রপতি পদে ক্ষমতাসীন, হোয়াইট হাউসে থাকতাম তাহলে এই সংঘাতের ঘটনা কখনোই ঘটত না। এই ঘটনার জন্য তিনি জো বাইডেনকেই দায়ী করছেন।

দুঃখ প্রকাশ ট্রাম্পের
পাশাপাশি ট্রাম্প কিন্তু ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোডমির জেলেনস্কির সাহসিকতার জন্য প্রশংসা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথাও ব্যক্ত করেছেন। পুতিন কথায় নাচছেন বাইডেন, এমনই নিন্দনীয় ঘটনার দাবি করেন ট্রাম্প। রাশিয়ার এই যুদ্ধকে খুব দুঃখ জনক ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন।

পুতিনের এই সংঘাতকে নিন্দনীয় ঘটনা বললেন ট্রাম্প
ইউক্রেনের আক্রমনের আগে ট্রাম্প কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্টকে বুদ্ধিমান, প্রতিভাবান বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। কিন্তু ইউক্রেনে আক্রমনের পর তিনি কিন্তু একেবারেই অন্য সুরে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন রুশ বাহিনীর এই আক্রমন করা একেবারেই ঠিক হয়নি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই সংঘাতকে কখনোই তিনি সমর্থন করেন না। এটি তিনি জানিয়েছেন ফ্লোরিডায় CPAC বা কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে থেকে। আমরা কিন্তু ইউক্রেনবাসীর জন্য গর্বিত। তাঁদের জন্য আমরা প্রার্থনা করছি।

আমেরিকা সহ মোট ২৮ টি ইউক্রেনের পাশে
রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে আমেরিকা সহ মোট ২৮ টি দেশ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াল। উল্লেখ্য, রাশিয়া ইতিমধ্যে কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জেফোরজিয়া অঞ্চলের মেলিটোপোল শহর দখল করেছ। জানা গিয়েছে, রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ইতিমধ্যে ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চলে ঘুরছে। যা নিয়ে চিন্তিত ইউক্রেনবাসী।
উল্লেখ্য, ন্যাটো প্রধান বলেন, ইতিমধ্যে কিন্তু স্থলে, জলে ,আকাশে কিন্তু অনেক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কয়েক হাজার সৈন্য নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি বহু জাতিক বাহিনী। ১০০ টির বেশি জেট বা যুদ্ধ বিমান ৩০ টি প্রতিরক্ষা স্থানে কাজ করবে। যার সঙ্গে কিন্তু ১২০ টির বেশি জাহাজও আছে। ন্যাটো অঞ্চল ও প্রতিবেশি দেশগুলির শান্তি বজায় রাখার জন্য আমরা যা করার করব। ৪০ হাজার সেনা অপেক্ষায় রয়েছে, মোতায়েন করা হয়নি।