লক্ষ্মী মিত্তলের ভাইঝির বিয়েতে খরচ ৫০০ কোটি টাকা!
লক্ষ্মী মিত্তলের ভাই প্রমোদও একজন শিল্পপতি। অর্থলগ্নির ব্যবসা ছড়িয়ে রয়েছে ইউরোপ-আমেরিকায়। মেয়ে সৃষ্টি মিত্তলের সঙ্গে কয়েক বছর আগে আলাপ হয় গুলরাজের। প্রথম দর্শনেই ভালো লাগা। ভালো লাগা থেকে ক্রমশ ভালোবাসা। বাবার কাছে বিষয়টা জানাতে দেরি করেননি ২৬ বছরের সৃষ্টি। রুপোলি পর্দার রুখুশুখু বাপ নয়, বরং উদারমনস্ক প্রমোদ মিত্তল মেয়ের পছন্দকে মেনে নেন। তরুণ শিল্পপতি গুলরাজ বেহলের বাড়ির সঙ্গে কথাবার্তা বলে শেষ পর্যন্ত বিয়ের দিন ঠিক করা হয়। বিদেশের মাটিতে বসত হলেও মিত্তলদের দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি। ঠিক হয়, ইউরোপে বিয়ে হলেও পুরোহিত ধরে আনা হবে ভারত থেকে। বৈদিক মতে বিয়ে হবে। রাঁধুনি মানে শেফদের উড়িয়ে আনা হবে ভারত থেকে। তামাম বিশ্বের খাদ্যসম্ভার থাকবে মেনুতে। সারা বিশ্ব থেকে যে অতিথিরা আসবেন, তাঁদের যাতায়াত-থাকার খরচ পুরোটা বহন করবে মিত্তল পরিবার।
বিয়ের অনুষ্ঠান হয় দু'ভাগে। সনাতনী অনুষ্ঠানটি হয় ফ্রান্সে। আর আধুনিক কায়দায় প্রীতিভোজ হয় স্পেনে। 'সগাই' বা এনগেজমেন্ট পার্টি হয় ফ্রান্সের ভার্সাইতে। বৈদিক আবহে অগ্নিসাক্ষী করে দোঁহে এক হন ভো ল্যে ভিকঁত প্রাসাদপুরীতে। আত্মীয়স্বজনকে নৈশভোজে ডাকা হয় জারদ্যাঁ দে তুইলেরিতে। এখানে রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শুধু কলকাতার রাঁধুনিদের।
প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান, সাহেবি কেতায় যাকে বলে 'ম্যারেজ রিসেপশন', তা হয় স্পেনের বার্সেলোনায়। বিমানবন্দর থেকে অতিথিদের ভোজসভায় নিয়ে আসার ব্যবহৃত হয়েছে অনেকগুলি হেলিকপ্টার। বর-কনের শুভ দাম্পত্য জীবনের কামনায় ৬০ কিলো ওজনের একটি কেক কাটা হয়। ভারতীয় খানা তো বটেই, ফ্রান্স, আমেরিকা, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, মঙ্গোলিয়া, আফগানিস্তান, মেক্সিকো, ইতালি, কোনও দেশের রসনাই বাদ যায়নি।
ভোজস্থলে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জুহি চাওলা, সইফ আলি খান, রানি মুখোপাধ্যায় প্রমুখ শিল্পী এই অনুষ্ঠানে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন। শুধু শাহরুখ খানকে পারিশ্রমিক বাবদ দেওয়া হয় তিন কোটি টাকা। আর দোঁহে কীভাবে প্রেমে পড়ে পরিণয়ে আবদ্ধ হলেন, তা শায়েরির ভাষায় লিখে দিয়েছিলেন জাভেদ আখতার। সব মিটে যাওয়ার পরও ফ্রান্স-স্পেনে এখন শুধু মুখে মুখে ফিরছে এই রূপকথাসম বিয়ে।
নবদম্পতির জীবন সুখের হোক!