তালিবান নিশানায় কান্দাহার বিমানবন্দর, বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উড়ে গেল রানওয়ে
তালিবান নিশানায় কান্দাহার বিমানবন্দর, বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উড়ে গেল রানওয়ে
বর্তমানে কান্দাহারকে পাখির চোখ করেই আফগানিস্তানে আগ্রাসন বাড়াচ্ছে তালিবানেরা। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই সেদেশের সিংহভাগ অংশ দখলে এসেছে তাদের। এমতাবস্থায় এবার সরাসরি কান্দাহার বিমানবন্দরে হামলা চালাতে দেখা গেল তালিবানদের। পাশাপাশি এই উগ্রপন্থী ইসলামী সংগঠনের নজরে রয়েছে পশ্চিমের প্রাদেশিক রাজধানী হেরাট এবং দক্ষিণের শহর লস্করে গহ।
একটানা তিনটি রকেট হামলা
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে আফগানিস্তানের কান্দাহার বিমানবন্দরে তিনটি রকেট হামলা করে তালিবানেরা। এরমধ্যে দু'টি রকেট গিয়ে রানওয়েতে আঘাত করে বলেও শোনা যাচ্ছে। যার ফলে বর্তমানে বিমানচলাচল সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ রয়েছে কান্দাহার বিমানবন্দরে। তবে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মেরামতির কাজ। এদিকে তালিবান ক্ষেপণাস্ত্র হানায় যে কান্দাহার বিমানবন্দরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ইতিমধ্যেই সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিমানবন্দরের প্রধান মসউদ পশতুন।
বাতিল সমস্ত ফ্লাইট
আর সন্ত্রাসী হানার পর থেকেউ ইতিমধ্যেই আগামী দুদিনের সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে যুদ্ধকালীন তত্পতায় কাজ এগোনোয় দু-একদিনের মধ্যে বিমান বন্দর মেরামতির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কাজে হাত লাগিয়েছে আফগান সেনাও। তবে একাংশের কাজ শেষ হওয়ায় রবিবার বিকেলর পর থেকে জরুরি ভিত্তিতে কিছু বিমান ওঠানামা করতে পারে বলে অসমর্থিক সূত্রে খবর।
কেন তালিবান নিশানায় কান্দাহার বিমানবন্দর ?
এদিকে এদিকে হেরাত, জালালাবাদ ও কান্দাহার শহরের অনেকটাই দখল করে ফেলেছে তালিবানেরা। আর তাতেই নতুন করে চাপ বেড়েছে আফগান সরকারের উপর। সেখানে আফগান ফৌজের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে জেহাদিদের। রোজই ঝরছে রক্ত। এমতাবস্থায় এবার কান্দাহার বিমানবন্দরে তালিবানদের এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। এদিকে তালিবানদের আটকাতে এতদিনে আফগান সেনাদের বড়সড় অস্ত্র সম্ভার থেকে একাধিক আনুসাঙ্গিক জিনিস আসছিল কান্দাহার বন্দর দিয়েই। আর তাই এই বিমানবন্দরকেই নিশানা করা হচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দেশজুড়েই তুমুল লুটপাট, তোলা আদায়
এদিকে গোটা দেশজুড়েই তুমুল লুটপাট, তোলা আদায়, কমবয়সি ছেলেদের নিজেদের বাহিনীতে জোর করে যোগ দেওয়াচ্ছে তালিবানেরা। অল্প বয়সী মেয়েদের ধরে নিয়ে গিয়ে অকথ্য নির্যাতনও চলছে। এদিকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকেই যেন রক্তের হোলিতে মেতেছে তালিবানেরা। কিছুতেই থামছে না সংঘর্ষ। এদিকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছে আমেরিকা। নয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পর থেকেই সেদেশে নতুন উদ্যেমে মাঠে নেমেছে তালিবানেরা।
প্রতীকী ছবি