পুজোর ১০০ দিন আগে নিউইয়র্কের রাস্তায় শারদ ছোঁয়া , বাঙালি দম্পতির চেষ্টাতে বিশ্বের দরবারে দুর্গোৎসব
পুজোর ১০০ দিন আগে নিউইয়র্কের রাস্তায় শারদ ছোঁয়া , বাঙালি দম্পতির চেষ্টাতে বিশ্বের দরবারে দুর্গোৎসব
মর্তে মা দুর্গার আগমনী বার্তা দিয়ে যায় মহালয়া। কিন্তু দুর্গা পুজো এখন বিশ্বজনীন। তাই অনেক আগে থেকেই সেই বার্তা পৌঁছে যায় মর্তলোকে। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে দেশে বিদেশে। এই যে মা দুর্গার আগামণী বার্তা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া। সেই কাজটা করেন জয়দীপবাবু ও তাঁর স্ত্রী স্বগুনা মুখোপাধ্যায়।
তখন দুর্গা পুজো নিয়ে বাংলা ভাবতে শুরু করেনি। তখনই তারা পৌঁছে গিয়েছিলেন বিদেশে। ছড়িয়ে দিয়ে এসেছেন মায়ের আগমনী বার্তা। করে এসেছেন আমন্ত্রন। বলে এসেছেন , ওহে বিদেশি বন্ধুরা আমাদের বাংলা দেশে এসে দেখে যেও উৎসব কারে কয়। দেখে যেও মানব ধর্মের মিলন উৎসব কাকে বলে। এইটা তারা আজ বলে নয়। বহু বছর ধরে করে আসছেন। আজ যে এই যে দুর্গা পুজো বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গিয়েছে এর পিছনে রয়েছে তাঁদের হাত। হ্যাঁ, রাজ্য সরকার প্রত্যেক বছর বিসর্জনের সময় কার্নিভ্যাল করে বিদেশের মানুষদের সব ঠাকুর দেখার, আর্টকে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে, তা ঠিক। কিন্তু ওই যে অনেক আগে থেকে সে দেশের মানুষের মনে পুজোর রঙের পোঁচ দিয়ে দেওয়া, সেই কাজটা নিজ হাতে বহু দিন ধরে করছেন জয়দীপবাবুরা।
এবারেও সেটাই করে তারা চলে এলেন দেশে। বলে এসেছেন , ওয়েক আপ আরলি , হোয়েন সেপ্টেম্বর এন্ডস। অর্থাৎ ওই সময়েই তো দুর্গাপুজো হয়। সেপ্টেম্বরের শেষে। তো সেই সময় আর ঘরে থাকা নয়। সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে চলে আসুন বঙ্গ ভূমিতে। প্রাণ ভরে নিন শারদ গন্ধ। দেখে নিন কাশফুলের বাহার, পেঁজা তুলোর মতো মেঘ, আর পায়ে ছড়িয়ে দিন ঢাকের তাল। মাতুন ভুবনমোহিনী আরাধনায়।
এভাবেই পুজোর ৯৬ দিন আগেই সারা বিশ্বে দুর্গার পুজোর প্রচার সেরে এলেন পুজো পাগল বাঙালি দম্পতি । বিদেশী পুজো পাগল এক হও অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন বিভিন্ন দেশের মানুষ। স্পেন,আমেরিকা থেকে শুরু করে ইতালি কে নেই সেখানে। রেজা ,মিরিনা , পেপে , নভারো , ডমিনিকরা তার প্রকৃত উদাহরণ। এদের মতে এরাই বিশ্বের দুয়ারে দুর্গা পুজো তুলে ধরেন। অনেক দিন আগে থেকেই। লড়াইটা শুরু হিয়েছিল ২০১০ সালে। একসঙ্গে লড়াই শুরু করেছিলেন স্বগুনা ও জয়দীপ। মনে একটাই ইচ্ছা ছিল দুর্গাপুজোকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া। জয়দ্বীপ বলেন , 'আমরা সেটা করেছি। দেশে বিদেশে গিয়ে ছোট ছোট ডকুমেন্ট্রি বানিয়ে তাঁদের দেখিয়েছি। কেন এখানে তারা আসবেন সেটা বুঝিয়েছি। সেখানকার সাংবাদিকদের এখানে নিয়ে এসেছি পুজো কভার করতে। যার ফল আজকের ইউনেসকোর স্বীকৃতি। ওরা বলছেন ইউনেসকোর স্বীকৃতি একটা হাতিয়ার। সেটা এবার ব্যাবহার করতে হবে। অনেকটা লড়াই আমরা করেছি। করবও। এবার সময় এসেছে এটাকে আরও ভালোভাবে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া।
বলিউডে ৩ দশক এসআরকের, বিশেষ দিনে শাহরুখ প্রকাশ্যে আনলেন 'পাঠান’ ছবির ফার্স্ট লুক