দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান! সৌদি আরবের সঙ্গে লোহিত সাগরের দ্বীপ হস্তান্তরের চুক্তিতে অনুমোদন ইজরায়েলের
দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান! সৌদি আরবের সঙ্গে লোহিত সাগরের দ্বীপ হস্তান্তরের চুক্তিতে অনুমোদন ইজরায়েলের
ইজরায়েলের সরকার বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের সঙ্গে লোহিত সাগরের দ্বীপ হস্তান্তরের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে। দুই দেশ নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেন বর্তমানে দুই দিনের ইজরায়েলের সফরে রয়েছেন। তাঁর উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে ইজরায়েল সম্মত হয়েছে। শুক্রবার তিনি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রহনা দেবেন।
জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য সফর
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ইজরায়েলে রয়েছেন। শুক্রবার সেখান থেকেই তিনি সৌদি আরবে যাবেন। ইজরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। ইজরায়েলি প্রশাসন মনে করছে, জো বাইডেনের এই সফরের মধ্যে দিয়ে ইজরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। বাইডেনের মধ্যস্থতার জেরেই সৌদি আরবের সঙ্গে ইজরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যেই ইজরায়েল, সৌদি আরবের সঙ্গে লোহিত সাগরে দ্বীপ হস্তান্তরের চুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির পাশাপাশি দুই দেশের বিষয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
লোহিত সাগরের দ্বীপ হস্তান্তরের চুক্তি
ইজরায়েল লোহিত সাগরে তিরান ও সানফির নামের দুটি দ্বীপ সৌদি আরবের সঙ্গে হস্তান্তরের চুক্তিতে সম্মত হয়েছে, সেই দুটি দ্বীপ বর্তমানে মিশরের অধীনে রয়েছে। আর্থিক সাহায্যের বিনিময়ে মিশর দ্বীপ দুটো সৌদি আরবকে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭৯ সালে মিশর ও ইজরায়েলের শান্তি চুক্তি আনুসারে এই দ্বীপ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ইজরায়েলের স্বাক্ষর প্রয়োজন। ২০১৮ সালে দ্বীপ হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা ইজরায়েলের স্বাক্ষরের জন্য বাস্তবায়িত হয়নি। অবশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেনের উপস্থিতিতে দ্বীপ হস্তান্তরের চুক্তিতে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নেয় ইজরায়েল।
সৌদি আরব ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন
জন্মলগ্ন থেকে ইজরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের শত্রুতা। গত কয়েক দশকে সেই শত্রুতা এতটুকু কমেনি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বে সৌদি আরব ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার একাধিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইজরায়েল সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিডের উপস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সামবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে ইজরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দ্বীপ হস্তান্তরের চুক্তির মাধ্যমে ইজরায়েলি জাহাজগুলো তিরান প্রণালীতে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করবে। ইজরায়েলের জাহাজগুলোর সামুদ্রিক নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সৌদি আরব। পাশাপাশি ইজরায়েল সুলিম হজযাত্রীদের জন্য সরাসরি সৌদি আরবের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ স্থাপন করবে বলে জানা গিয়েছে।