প্যাংগং থেকে সরছে লালফৌজ, চিনের শান্তি বার্তায় অবশেষে লাদাখে কাটছে সংঘাতের মেঘ ?
প্যাংগং থেকে সরছে লালফৌজ, চিনের শান্তি বার্তায় অবশেষে লাদাখে কাটছে সংঘাতের মেঘ ?
গত বছর জুনের গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই বারংবর উত্তপ্ত হতে থাকে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন বিস্তৃর্ণ এলাকা। এমনকী তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতিও। এদিকে সেনা পর্যায় হোক বা কূটনৈতিক, একাধিক পর্যায়ে আলোচনার পরেও দীর্ঘদিন যাবৎ মেলেনি কোনও রফাসূত্র। কিন্তু অবশেষে চিন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত থেকে সরছে লালফৌজ
সূত্রের খবর, বুধবার থেকে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত ও চিন। চিনা সংবাদমাধ্যম 'গ্লোবাল টাইমসে' প্রথম এই খবরের কথা জানানো হয়। পরবর্তীতে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফেও বিবৃতি জারি করে সেনা প্রত্যাহারে খবর নিশ্চিত করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।
কী বলা হয়েছে চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে ?
ইন্দো-চিন সামরিক স্তরে নবম পর্যায়ের আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বুধবার চিনের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানান সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র য়ু কিআন। বুধবার থেকে দুই দেশই ধাপে ধাপে ও একসঙ্গে সেনা সরাচ্ছে বলে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে। তবে এর আগেও একাধিক বার চিনের তরফে সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও আদতে বাস্তবে তার উল্টো প্রতিচ্ছবি দেখা যাওয়াতেই এখনও বাড়ছে উদ্বেগ।
২৪ জানুয়ারি হয় নবম পর্যায়ের বৈঠক
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে নবম পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল গত ২৪ জানুয়ারি। তবে ঠিক কোন পদ্ধতিতে সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে সেটা নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়নি চিনা প্রতিরক্ষ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে। তবে গত নয় মাস ধরে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন স্থানে দুই দেশের মধ্যে যে অচলাবস্থা চলছে, সেটা হয়তো এবার কেটে যাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
লাদাখে আদৌও কাটবে সংঘাতের মেঘ ?
এদিকে সীমান্তে শান্তি, সৌহার্দ্য বজায় রাখতে ও যাতে সেনাবাহিনীরা সংযম প্রদর্শন করে, তার জন্য লালফৌজ সর্বত ভাবে চেষ্টা করবে বলেচিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে।এদিকে প্যাংগং সহ লাদাখের বেশ কিছু অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা মোতায়েন করে রেখেছে ভারত ও চিন। এমনকী এই অঞ্চলেই গত কয়েকমাসে লাগাতার আগ্রাসন বাড়িয়েছে চিন। এমতাবস্থায় দুই দেশের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অবশেষে লাদাখে সংঘাতের মেঘ কাটবে কিনা এখন সেটাই দেখার।
প্রশান্ত কিশোরের মতো 'পরামর্শদাতা' আছে বিজেপিরও, নাম নিয়ে জল্পনায় তৃণমূলের হেভিওয়েট