
মিলল বিরল কালো হিরের খোঁজ, ওজন ৫৫৫.৫৫ ক্যারেট
বিরাট এবং অনন্য এক হিরে এল দুবাইয়ের সাউথেবি নিলাম সংস্থায়। তাঁরা জানাচ্ছেন এটি কালো হিরে এবং এর ওজন শুনলে চমকে যাবেন। জানা গিয়েছে এর ওজন ৫৫৫.৫৫ ক্যারেট। তাঁদের দাবি এমন হিরে কোথাও পাওয়া যাবে না। বিরল বললেও ভুল হবে না। এর নাম এনিগমা।

কেন বিরল এই হিরে?
সংস্থার তরফে মঙ্গলবার এই বিরল হিরেটি জনসমক্ষে আনা হয়েছে। আগামী মাসে লন্ডনে এটি নিলামে উঠবে। সংস্থা আশা করছে বিরল এই হিরে খুব কম করে হলেও ৫ বিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ডে বিক্রি হবে। সংস্থা এর মূল্য নিতে পারে ক্রিপ্টোকরেন্সির মাধ্যমে। গত বছর হংকংয়ে একটি হীরা ১২.৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল, যার মূল্য ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পরিশোধ করা হয়েছিল।

কী বলছেন রত্ন বিশেষজ্ঞরা?
সফি স্টিভেন্স নামের এক রত্ন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এই হিরেটি একেবারেই বিশেষ। এর ওজনে পুরোটাই পাঁচ সংখ্যাটি রয়েছে। তাই একে সংখ্যা তত্বের বিচারে বিশেষ বলেই মনে করছেন তাঁরা।। হিরের আকৃতি নির্ধারণ করা হবে মধ্য পূর্ব হাতের তালুর চিহ্ন খাসমাকে সামনে রেখে। খাসমা অর্থ পাঁচ। আর এই খাসমা শক্তি ও প্রতিরক্ষার প্রতীক।

কবে নজরে এসেছিল এই হিরে?
এই হিরে বিগত ২০ বছর ধরে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির কাছে লুকানো ছিল, যা কখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা এটিকে ৫৫-মুখের গয়নায় পরিণত করে ফেলেছেন বলে জানা গিয়েছে। দুবাইতে দেখানোর পর এনিগমাকে লস অ্যাঞ্জেলেস এবং লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা সাত দিন অনলাইনে নিলাম হবে।

কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যেহেতু এই হিরের মধ্যে কার্বনেডো আছে তাই তাঁরা মনে করছেন এটি বিশেষ কোনও বস্তু দিয়ে তৈরি হয়েছে। সম্ভবত কোনও উল্কার অংশ পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল , তার ফলে কেমিক্যাল গ্যাস তৈরি হয় তা থেকেই এটি তৈরি হয়েছে অথবা ওই উল্কা পিন্ডেই ছিল ওই হিরে'। তাই তাঁরা একে বিশেষ বলে মনে করছেন।।
প্রসঙ্গত, কালো হিরেকে কার্বনেডোও বলা হয়। এটি খুবই বিরল।।এটি প্রাকৃতিকভাবে একমাত্র পাওয়া যায় ব্রাজিল ও মধ্য আফ্রিকায়।
প্রতীকী ছবি