পরপর চিন বিরোধী মাস্টারস্ট্রোক ভারতের! কূটনৈতিক খেলায় পরবর্তী চাল দিতে তেহরানে রাজনাথ
মস্কোয় নিজের কর্মসূচি শেষ করে এবার ইরানের রাজধানী তেহরানের উদ্দেশে রওনা দিতে চলেছেন রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিজেই এই কথা জানান। সম্প্রতি চিন-ইরান বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে দেখে চিন্তিত হয় দিল্লি। এদিকে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল ইরানের। সেই সব সমস্যা মেটাতেই রাজনাথের ইরান সফর।

ভারত ও ইরান ঐতিহাসিক ভাবে ভালো বন্ধু
ভারত ও ইরান ঐতিহাসিক ভাবে ভালো বন্ধু হলেও সম্প্রতি আমেরিকার ঘনিষ্ঠতার দাম হিসাবে সেই বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে। ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধে বাধ্য হয়েছে ভারত। এদিকে ইরানের পরম শত্রু আমেরিকার সঙ্গে ভারতে সখ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি চিনের সংঘাত বেড়েছে। শত্রুর শত্রুকে বন্ধু বানানো অনেক পুরোনো নীতি। আর সেই পথে হেঁটেই ইরান এখন চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।

মস্কো থেকে তেহরান যাচ্ছেন রাজনাথ
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন তিনি মস্কো থেকে তেহরান যাচ্ছেন। সেখান থেকে দেশে ফিরবেন তিনি। তেহরানে সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাজনাথ। সম্প্রতি খবর প্রকাশ পায় যে চাবাহার রেল প্রকল্পে ভারতের বদলে চিনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ইরান। তারপরই ভারত-ইরান সম্পর্ক নিয়ে আরও জল্পনা শুরু হয়।

চাবাহার প্রকল্প নিয়ে জল্পনা
এই চুক্তিতে ভারতের বদলে চিনের নাম থাকায় প্রচুর জলঘোলা হয়েছে। বিতর্ক দানা বেধেছে ভারতের রাজনীতিতে। তবে ইরানের বক্তব্য ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বে কোনও চিড় পড়েনি ইরানের। যদিও দিল্লি-ওয়াশিংটনের একাধিক চুক্তি চক্ষুশূল হয় ইরানের। এরপর উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ভাগে যখন দিল্লি হিংসার আগুনে জ্বলছে, তখন পাকিস্তানের উস্কানিতে সিএএ নিয়ে ও দিল্লি হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছিল ইরান। কার্যত সেই সময় ভারতের পরিস্থিতিকে খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি সেদেশ। সমালোচনার সুরে এদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইরান।

চাবাহার নিয়ে ইরানের বক্তব্য
চাবাহার নিয়ে ইরানের বক্তব্য ভারতের সঙ্গে যেই দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তাতে রেল প্রকল্পের উল্লেখ ছিল না। আসলে রেলের এই প্রকল্পের কয়েকটি বিষয়ে ভারতের নিজেস্ব দাবি ছিল যা ইরানের পক্ষে মানা কঠিন ছিল। এদিকে ভারতও সেই দাবিতে অনড় ছিল। ইরানের সেই দাবি মেনে নেওয়ার অক্ষমতার জেরেই ভারত এই প্রকল্পে ইরানের সঙ্গে হাত মেলায়নি।

সত্যি ঘটনাটি কী?
ইরানের চাবাহার বন্দর থেকে জেহেদান পর্যন্ত একটি রেলপথ তৈরির প্রকল্পের অংশিদার ছিল ভারত। তবে সত্যি ঘটনা হল, মৌ স্বাক্ষরিত হলেও এই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে ইরান যেই দুটি চুক্তি করেছে তা হল চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত, তাতে রেল প্রকল্প নেই। আর এর নেপথ্যে রয়েছে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক ইরানি সংস্থা। যারা কি না ইরানের সেনার সঙ্গে যুক্ত। এবং সেই সংস্থা আমেরিকার ব্ল্যাকলিস্টে।
ভারতে আইএস জঙ্গিদের মদত দেওয়ার নেপথ্যে তুরস্ক! যেভাবে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে কট্টরপন্থা