queen elizabeth-ii-এর জানেন কত কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! কি হবে সেগুলির?
queen elizabeth-ii-এর জানেন কত কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! কি হবে সেগুলির?
প্রয়াত হলেন ব্রিটেনের দীর্ঘতম শাসক হিসাবে রাজ করা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ৯৬ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ১৯৫৩ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে রাণীর মুকুট পড়তে হয় এলিজাবেথকে। এরপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে নিজের কর্তব্য সামলে এসেছেন মহারাণী। গত বছরের অক্টোবর থেকেই শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। কিন্তুয় বৃহস্পতিবার হঠাত করেই রানির শরীরে অবনতি ঘটতে থাকে। এবং স্থানীয় সময় রাজ পরিবারের তরফে প্রয়াণের খবর জানানো হয়। শোকস্তব্ধ বিশ্ব।
লাগত না পাসপোর্ট
বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মহিলাদের মধ্যে ছিলেন রানি এলিজাবেথ। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন বিশ্বের একমাত্র মহিলা যার পৃথিবীর কোথাও ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট বা ভিসার প্রয়োজন ছিল না। শুধু তাই নয়, তাঁর নামে রাষ্ট্রীয় গান থেকে শুরু করে সে দেশের টাকাতেও ছিল রানির ছবি। কিন্তু রানির প্রয়াণের পরেই একগুচ্ছ বদল ঘটবে ব্রিটেনে। কিন্তু সে দেশ জুড়ে থাকা রানি এলিজাবাথের বিশাল সম্পত্তি কি হবে? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কত সম্পদ রেখে গেলেন রানি? এমনকি তাঁর চলে যাওয়ার পরে কী হবে সেই সম্পদের?
রানি এলিজাবেথের সম্পত্তি কত?
রালি এলিজাবেথের সম্পত্তি নিয়ে একাধিক কথা রয়েছে। তবে এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রানি এলিজাবেথ. 500 মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি তাঁর আগামী প্রজন্মের জন্যে রেখে গেলেন। বলে রাখা প্রয়োজন ছেলে প্রিন্স রাজার আসনে বসার পর এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হবেন। তবে এলিজাবেথের এই বিপুল সম্পত্তি কেবল তাদের মালিকানাধীন নয়, সম্পত্তিটি রয়্যাল ফার্মেরও মালিকানাধীন। তবে রয়েল ফ্ল্যামিলির সম্পত্তি ২৮ আরব ডলার। কিং জর্জ VI এবং প্রিন্স ফিলিপের মতো ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা একবার এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন।
করের টাকা পান রানি
ব্রিটেনের রানী অনেক উৎস থেকে আয় পেতেন, যার একটি বড় অংশ ছিল করের টাকা। যা কিনা সার্বভৌম অনুদান হিসাবে পরিচিত। যা প্রতি বছর ব্রিটিশ রাজপরিবারকে দেওয়া হয়। এটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সঙ্গে রাজা তৃতীয় জর্জ একটি চুক্তি করেছিলেন। যা অনুসারে রাজপরিবারের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশের পক্ষ থেকে একটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করতে হবে এবং ব্রিটিশ রাজপরিবার তাদের সম্পত্তি দেশের সংসদের হাতে তুলে দিয়েছিল। আর সেই সমঝোতা অনুযায়ী বড় অংশের করের টাকা পৌঁছে যায় রানির কাছে। প্রতিবেদন অনুসারে, এই অনুদানের পরিমাণ 2021 এবং 2022 সালে £ 86 মিলিয়নেরও বেশি ছিল। শুধু রানিকে বেতন নয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান হিসাবে বড় রোজগার রয়েছে রানির।
রয়্যাল ফার্ম: 28 বিলিয়ন ডলারের সাম্রাজ্য
রয়্যাল ফার্ম, রাজশাহী পিএলসি নামেও পরিচিত। হাউস অফ উইন্ডসর হল সিনিয়র সদস্য এবং সার্ব্জনিক সদস্যরা রয়েছেন। যার প্রধান ছিলেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। গোটা বিশ্বে রাজ পরিবারের ব্যবস্যা রয়েছে। টেলিভিশন প্রোগ্রাম এবং পর্যটনের মাধ্যমে প্রতি বছর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড আনে। বিশ্বের ব্যবসায় পরিবারের সাত সদস্যের সমান অধিকার রয়েছে বলেও জানা যায়।
সম্পতির কোনও দিন বিক্রি হবে না
ফোর্বসের খবর অনুযায়ী, 2021 সালের হিসাবে রাজতন্ত্রের প্রায় 28 বিলিয়ন ডলারের স্থাবর সম্পদ রয়েছে, যা বিক্রি করা যাবে না। এই সম্পত্তি বিভিন্ন জায়গাতে ছড়ানো রয়েছে। যেমন- ক্রাউন এস্টেট: $19.5 বিলিয়ন, বাকিংহাম প্যালেস: $4.9 বিলিয়ন, কর্নওয়ালের ডাচি: $1.3 বিলিয়ন। এছাড়াও আরও রয়েছে। তবে রাজপরিবার ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা থেকে লাভবান হয় না। বরং সে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করা হয়। তবে বড় অংশের একটা গ্রান্ট রাজ পরিবারকে দেওয়া হয়। তা মোটেই কম নয়।
ক্রাউন এস্টেট-
ক্রাউন এস্টেট হল ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের অন্তর্গত জমির একটি সংগ্রহ। যা মহারাণী এলিজাবেথের কাছেই ছিল। কিন্তু এটি তাঁর নিজের সম্পত্তি নয়। কিন্তু মালকিন অবশ্যই তিনি। একটি বোর্ডের তরফে এই বিপুল সম্পত্তির রক্ষনাবেক্কখণ করা হয়। জুন মাসে, ক্রাউন এস্টেট 2021-2022 অর্থবছরের জন্য $312.7 মিলিয়ন নিট রাজস্ব মুনাফা ঘোষণা করেছে, যা এক বছরের আগের তুলনায় $43 মিলিয়ন বেশি। বিভিন্ন খাতে এই খরচ করা হয়।
রানির নিজস্ব সম্পত্তি কত?
বিজনেস ইনসাইডারের খবর অনুযায়ী, বিনিয়োগ, শিল্প সংগ্রহ, গয়না এবং রিয়েল এস্টেট হোল্ডিংয়ের নেট মূল্য $500 মিলিয়নের কাছাকাছি হতে পারে। আর বিপুল সম্পত্তি পুরোপুরি ভাবে রানির। স্যান্ড্রিংহাম হাউস এবং বালমোরাল ক্যাসেল রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এখন তিনি মারা গেছেন, তার ব্যক্তিগত সম্পদের বেশির ভাগই প্রিন্স চার্লসের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই রাজার সিংহাসনে বসবেন প্রিন্স। বলে রাখা প্রয়োজন, রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মা যখন 2002 সালে মারা যান, তখন তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে $70 মিলিয়ন সম্পদের অধিকারী হন। যার মধ্যে বিভিন্ন শিল্পকর্ম, একটি স্ট্যাম্প সংগ্রহ, গহনা, ঘোড়া এবং এমনকি একটি মূল্যবান ফ্যাবার্গের সংগ্রহ ছিল।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে ফিলিপের প্রেমে পড়েছিলেন এলিজাবেথ, চিঠিতেই জমে উঠেছিল প্রেম