চিন নিয়ে এককাট্টা কোয়াড দেশগুলি, রাশিয়া নিয়ে রয়েছে মত পার্থক্য
আমেরিকার নেতৃত্বে কোয়াড সম্মেলন বসেছিল জাপানে। সেই জাপানে যেখানে তারাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কুখ্যাত পরমানু বোমা হামলা করেছিল। এক সময় যারা দুই মেরুতে অবস্থান করত আজ তারা চিনের বিরুদ্ধে লড়তে একমঞ্চে হাজির হয়েছে। সেই মঞ্চে হাজির ছিল ভারত সহ ১৩টি দেশ। প্রত্যেকের লক্ষ্য ছিল চিনের আগ্রাসনের জবাব দেওয়া। এই বিষয়ে সবাই তারা এক মত হলেও রাশিয়া নিয়ে সবাই সহমত হলেন না। এলেন না এক জায়গায়। সরাসরি কেউ কিছু না বললেও, রাষ্ট্রনেতাদের বক্তব্য তাদের ভাবনাকে স্পষ্ট করে দিল।
কোয়াডে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল কিন্তু চিনের যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় এক মত ছিলেন তাঁরা কারণ সবাই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের অগ্রগতি ভালো ভাবে নিচ্ছে না।
উল্লেখযোগ্যভাবে, যখন ওয়াশিংটন এবং টোকিও মস্কোর সমালোচনায় সোচ্চার হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উভয়েই তাদের বিবৃতিতে রাশিয়ার নাম নেন এবং সমালোচনা করেন কিন্তু ভারত ও অস্ট্রেলিয়া সম্মেলনে তাদের রাশিয়া নিয়ে মুখ খোলেনি।
বাইডেন তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করেন রাশিয়াকে। বাইডেন বলেন: "যতদিন রাশিয়া এই যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, আমরা এর বিপক্ষে থাকব এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেব। আমরা এই যুদ্ধের জন্যই একটা অন্ধকার সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশদের নৃশংস এবং প্ররোচনাবিহীন হামলা মানবিক বিপর্যয়ের সূচনা করেছে। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উদ্বাস্তু। দেশে থেকেও ঘরছাড়া বহু মানুষ। এটি কেবল একটি ইউরোপীয় সমস্যা নয়, এটি একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। আপনি টেলিভিশন চালু করলে আপনি দেখতে পাবেন রাশিয়া এখন কী করছে। আমার মনে হচ্ছে পুতিন কেবল একটি সংস্কৃতিকে নিভিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমনকি তিনি এখন শুধু আর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতেও লক্ষ্য রাখছেন না, তিনি প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি গির্জা, প্রতিটি ইউক্রেনীয় সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করছেন। এবং বিশ্বকে এর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে হবে এবং আমরা সেখানে আছি"।
কিশিদা
হুঁশিয়ারি
দিয়ে
বলেন,
"ইউক্রেনে
যুদ্ধ
একটি
গুরুতর
ঘটনা
যা
আইনের
শাসন-ভিত্তিক
আন্তর্জাতিক
ব্যবস্থাকে
মৌলিকভাবে
নাড়া
দিয়েছে।
ইউক্রেনে
রাশিয়ার
আগ্রাসন
রাষ্ট্রসংঘের
সনদে
অন্তর্ভুক্ত
নীতিগুলিকে
পুরোপুরি
চ্যালেঞ্জ
করে।
ইন্দো-প্যাসিফিক
অঞ্চলে
এরকম
ঘটনা
ঘটুক
সেটা
আমরা
চাইব
না।
আমাদের
একত্র
হওয়া
আন্তর্জাতিক
সমাজের
কাছে
অত্যন্ত
তাৎপর্যপূর্ণ"।
রাশিয়ার বিষয়ে নীরব, মোদি বলেন যে , "কোয়াড গ্রুপ তার পরিধি এবং প্রভাব বিস্তার করে বিশ্ব মঞ্চে নিজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান তৈরি করেছে। পারস্পরিক সহযোগিতা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে উৎসাহিত করছে, যা আমাদের সকলের যৌথ উদ্দেশ্য,"
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন , "নতুন অস্ট্রেলিয় সরকারের ভাবনা কোয়াড এজেন্ডার সাথে যুক্ত। আমরা স্থিতিস্থাপক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য একসাথে দাঁড়িয়েছি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহ আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার জন্য একসাথে কাজ করছি এবং আমাদের অঞ্চলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করছি,"।