শেষ হতে চলেছে স্পুটনিক-ভি বিতর্ক? বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে অন্তিম ট্রায়ালের রিপোর্ট রাশিয়ার হাতে
শেষ হতে চলেছে স্পুটনিক-ভি বিতর্ক? বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে অন্তিম ট্রায়ালের রিপোর্ট রাশিয়ার হাতে
ক্রমেই যখন করোনা গ্রাসে তলিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব ঠিক তখনই বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল রাশিয়া। বিশ্বজুড়ে করোনা গবেষণার মাঝেই রাশিয়া জানিয়েছিল তাদের প্রতিষেধকের কথা। যদিও এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের বিষয়ে প্রশ্ন ওঠার পরেও স্পুটনিক-ভি নিয়ে শুরু থেকেই আশাবাদী ছিল গবেষকমহল। এবার এই ভ্যাকসিনের শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্টও পেশ করতে চলেছে প্রস্তুতকারক সংস্থা গামালেয়া ইনস্টিটিউট। প্রধান আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ জানিয়েছেন যে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির
২১শে অক্টোবর নাগাদ তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ফল প্রকাশের
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে গামালেয়া ইনস্টিটিউটের প্রধান আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ জানিয়েছেন, "সংবাদমাধ্যম এত কম সময়ে রাশিয়ার এই প্রতিষেধক প্রস্তুতির ব্যাপারটিকে বিপজ্জনক বলে অভিহিত করলেও আমরা বলতে পারি যে, ট্রায়ালের ক্ষেত্রে কোনোরকম ফাঁক না রেখেই প্রতিষেধককে বাজারে আনা হবে। শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্টও জলদি প্রকাশ করা হবে।" ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা বিশ্বজুড়ে একাধিক ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চললেও তৃতীয় ধাপের মানব ট্রায়ালের ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রে রাশিয়াই বিশ্বে প্রথম হতে চলেছে। ৯ই সেপ্টেম্বর প্রায় ৫,০০০ করোনা স্বেচ্ছাসেবকের উপর স্পুটনিক-ভি প্রয়োগের পর প্রায় ৪২ দিনের মাথায় অর্থাৎ ২১শে অক্টোবর নাগাদ ফলাফল ঘোষণার ইঙ্গিত দিচ্ছে রাশিয়া।
রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
পশ্চিমি দেশগুলি ৪২ দিনেরও অধিক সময় জুড়ে ট্রায়াল চালালেও এখনও পর্যন্ত ফলাফল ঘোষণায় আগ্রহ দেখায়নি। অন্যদিকে রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তকে 'তাড়াহুড়ো' বলে দাগিয়ে দিচ্ছেন গবেষকই। তবে ড্রাগ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সাথে বৈঠক করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মত গিন্টসবার্গের। তিনি জানান, "আমিও জানি ৪২ দিন স্বল্পসময়। কিন্তু ভ্যাকসিনের অপেক্ষা করছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য এটাই দীর্ঘ সময়।"
১৮০ দিন ধরে ৪০,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ
এদিকে গিন্টসবার্গ আরও জানান, প্রায় ১৮০ দিন ধরে ৪০,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রতিষেধক প্রয়োগ করিয়ে তার প্রভাবও আগামীতে যাচাই করা হবে। অন্যদিকে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৪০০ জন মারাত্মক কোভিড আক্রান্তকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদেরকেও নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে। যদিও মস্কোর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে পশ্চিমী চিকিৎসকমহলে।
স্পুটনিক-ভি নিয়ে আশাবাদী রাশিয়া
গিন্টসবার্গ জানিয়েছেন, স্পুটনিক-ভি-এর প্রয়োগে মাত্র ১৪%-১৫% রোগীর মধ্যে সামান্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। প্লেসবো ওষুধ প্রয়োগ তাদের স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি। আলেকজান্ডারের মতে, "মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ দপ্তর রাশিয়ার ভ্যাকসিনের সাফল্যকে ৫০%-এ বেঁধে দিলেও তা বর্তমানে ৭৫% ছুঁতে চলেছে। প্রায় ৪০,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। ফলে মস্কোয় সংক্রমণ কম হলেও সফলতার হার অধিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।" রাশিয়া ইতিমধ্যে বেলারুশ, ব্রাজিল ও ভারতের মত দেশে তাদের প্রতিষেধক পরীক্ষার কথা ভাবছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
হানিট্র্যাপের ফাঁদে পড়ে অপহৃত বিজ্ঞানী, হোটেল রুমেই পুরো দিন বন্দিদশা কাটালেন
{quiz_369}