চতুর্থবারের মতো রুশ প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিলেন পুতিন, শুরু উত্তরসূরী-জল্পনা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে চতুর্থবারের মতো শপথ নিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে চতুর্থবারের মতো শপথ নিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। তবে শপ্থ গ্রহনের দিনে একদিকে যেমন তিনি নিশ্চিন্ত, কারণ রুশ জনতার প্রবল সমর্থনে পরের ছ'বছরের জন্য পাকা হয়েছে তার আসন। অপরদিকে, চিন্তা বাড়িয়েছে পশ্চিমী দেশগুলোর সঙ্গে বিবাদ, দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি এবং তাঁর মেয়াদ শেষে রাশিয়ার অনিশ্চিত ভবিষ্যত।
গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত আন্দ্রেয়েভস্কি হলে হয় এই শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান। রুশ সংবিধানের একটি সোনা-বাঁধানো অনুলিপির ওপর হাত রেখে পুতিন রুশ জনগণের সেবা করার, অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার এবং রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার শপথ নেন। তারপর ভাষণ দিতে উঠে পুতিন দাবি করেন পরবর্তী ছয় বছরে রাশিয়া বিশ্ব পর্যায়ে একটি শক্তিশালী, পেশীবহুল দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে। একদিকে যেমন অত্যন্ত শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গঠন করা হবে অন্যদিকে নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নেও জোর দেওয়া হবে। তিনি বলেন, 'এই পদের বিরাট দায়িত্ব। আমার জীবন ও আমার কাজের লক্ষ্য হবে দেশের মানুষ ও পিতৃভূমির সেবা করা।'
শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে রুশ পদস্থ কর্তাদের পাশাপাশি বিদেশী বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন প্রাক্তন জার্মান চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোয়েডারও। রাশিয়ায় তৈরি একটি নতুন লিমোজিনে চড়ে তাঁর অফিস থেকে শপথগ্রহন অনুষ্ঠানের মঞ্চে আসেন পুতিন। রুশ সরকারি টিভি চ্যানেল জানিয়েছে এখন থেকে এই লিমোজিনটিই ব্যবহার করবেন প্রেসিডেন্ট।
গত মার্চে রাশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রায় ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি নির্বাচনে নানা অনিয়ম হয়েছে। আগের নির্বাচনগুলোতেও পুতিনের বিপক্ষে ব্যালট জালিয়াতির অভিযোগ ছিল। আদতে এবারের নির্বাচনে তাঁর কোনও বিরোধিতাই ছিল না। তাঁকে যিনি কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলতে পারতেন, সেই আলেক্সেই নাভালনিকে ভোটে দাঁড়াতেই দেওয়া হয়নি। উপরন্ত গত শনিবার তাঁকে আটক করে রুশ পুলিশ। পরে অবশ্য ছেড়েও দেওয়া হয়।
পুতিনের
শপথকে
সামনে
রেখে
শনিবার
(৫
মে)
মস্কোসহ
রাশিয়ার
বিভিন্ন
শহরে
পুতিন
বিরোধীরা
বিক্ষোভ
দেখায়।
তাদের
ঠান্ডা
করতে
পুলিশ
লাঠিচার্জ
ও
কাঁদানে
গ্যাস
ছুড়েছে।
সেসময়ই
আটক
হন
নাভালনি।
পুতিন-বিরোধীরা
বলছেন
তিনি
রাশিয়ার
গণতন্ত্র
ধ্বংস
করার
খেলায়
মেতেছেন।
এবারের
মেয়াদ
নিয়ে
কৌশলে
সেই
২০০০
সাল
থেকে
একটানা
২৪
বছর
পুতিন
রাশিয়ার
সর্বময়
ক্ষমতায়
থাকবেন।
এজন্য
তাঁকে
জার-এর
সঙ্গেও
তুলনা
করা
হচ্ছে।
বিক্ষুব্ধরা
স্লোগান
তুলছেন
'পুতিন
আমাদের
জার
নয়'।
তবে
এই
মেয়াদের
পর
রুশ
সংবিধান
অনুযায়ী
ক্ষমতা
ছাড়তেই
হবে
তাঁকে।
এর
আগে
তিনি
বলেছেন
চিনা
প্রেসিডেন্টের
মতো
আজীবন
ক্ষমতায়
থাকতে
সংবিধান
বদলের
পক্ষপাতি
নন
তিনি।
কাজেই
শপথগ্রহন
অনুষ্ঠান
থেকেই
প্রশ্ন
উঠছে,
এরপর
কে?
কৌতূহল
তৈরি
হয়েছে
পুতিন
কাকে
প্রধানমন্ত্রী
বেছে
নেবেন
তা
নিয়েও।
বিশ্লেষকরা
বলছেন,
যদি
তিনি
দীর্ঘদিনের
বিশ্বস্ত
সঙ্গী
বর্তমান
প্রধানমন্ত্রী
দিমিত্রি
মেদভেদেভকেই
আরও
একবার
রেখে
দেন
তবে
এখন
যেরকম
চলছে,
সেরকমই
চলবে।
যদি
নতুন
কাউকে
বেছে
নেন,
তাহলে
বুঝতে
হবে
নীতিতে
কিছু
বদল
আসতে
চলেছে।
পাশাপাশি
পুতিনের
উত্তরসূরী
নিয়েও
জল্পনা
চলবে।