রাশিয়ার দখলে Lugansk প্রদেশ আসতেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে কী নির্দেশ দিলেন পুতিন?
আর এর মধ্যে সামনে আসতে শুরু করেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ইউক্রেনের Lugansk প্রদেশে'র নাকি পুরোপুরি ভাবে রাশিয়ার দখলে চলে এসেছে। আর এরপরেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী Sergei Shoigu মুখোমুখি হলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদ
প্রায় কয়েকমাস কেটে গেলেও চলছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ! আর এর মধ্যে সামনে আসতে শুরু করেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ইউক্রেনের Lugansk প্রদেশে'র নাকি পুরোপুরি ভাবে রাশিয়ার দখলে চলে এসেছে। আর এরপরেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী Sergei Shoigu মুখোমুখি হলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের।
পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা নিয়ে মূলত আলোচনা করতেই পুতিনের মুখোমুখি হন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। আর সেই বৈঠকের আগামী কি ব্যবস্থা সে সংক্রান্ত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, পুতিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইস্ট এবং ওয়েস্ট গ্রুপ সহ পুরো সেনাবাহিনী যাতে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিকই কাজ করে। এখনও পর্যন্ত যে পদ্ধতিতে সেনাবাহিনী এগিয়েছে সেই রণকৌশল যাতে আগামিদিনেও বজায় থাকে সেই নির্দেশও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
গত সপ্তাহের শেষেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী Sergei Shoigu পুতিনকে জানিয়েছেন, Lugansk প্রদেশে'র পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে এসেছে মস্কোর হাতে। প্রায় চারমাস যুদ্ধের পর এটা একটা বড় সাফল্য হিসাবেই দেখছে রাশিয়া। দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেনের রাজধানী কিভ দখলের জন্যে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া।
কিন্তু ইউক্রেনের বাহিনী করা প্রতিরোধে সেদিকে এগোতে গিয়ে বারবার ধাক্কা খাচ্ছে তাঁরা। কার্যত কিভ দখলের আশা ছেড়েই দিয়েছে রাশিয়া। আর এরপরেই রাশিয়ার টার্গেট হয়েছিল Lugansk এবং ডোনেক্স শহর। তবে এই বিতর্কের মধ্যেই রাশিয়ার এহেন দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছি না। কারণ ইউক্রেনের Lugansk প্রদেশে' এখনও লড়াই জারি রয়েছে বলেও দাবি করেছনে সে দেশের প্রেসিডেন্ট। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জেলেক্সি জানাচ্ছেন, Lugansk প্রদেশে'র বাইরে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ান ফোর্সের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে। একেবারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে বলেও দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ফলে যে কোনও মুহূর্তে যে কারোর কাছে এই প্রদেশ যেতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে Lugansk প্রদেশে'র গভর্নর রবিবার জানান, ইউক্রেনের লুহানস্ক প্রদেশের শেষ অবশিষ্ট শক্ত ঘাঁটিটি দখল করতে রুশ বাহিনী তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। শুধু তাই নয়, হামলার গতিও তাঁরা বাড়িয়েছে। উল্লেখ্য, মাসের পর মাস চললেও এখনও যুদ্ধ চলছেই। এর কোনও সমাধান সূত্র এখনও বের হয়নি।
এই অবস্থায় একাধিক দেশ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। অস্ত্র সরবরাহ করছে। পালটা রাশিয়ার উপরে একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছেও। কিন্তু এর শেষ কথায়? তেমনটাই উঠছে প্রশ্ন।