অতি-প্রয়োজনীয় ওষুধের ভাঁড়ারে টান, দোকানের বাইরে লম্বা লাইন রাশিয়ায়
একমাসের বেশি যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে৷ ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমন করে। সেদিন থেকেই আমেরিকা ও মিত্র দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়েছে মস্কো৷ যতদিন গিয়েছে ততই ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ ইউক্রেনপন্থী দেশগুলির নিষেধাজ্ঞা বেড়েছে। এবার তার কড়া মাশুল গুনতে হচ্ছে রাশিয়াকে৷ সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবর গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের অভাবে ভুগছে মস্কো৷ লম্বা লাইন পড়ছে ওষুধ দোকানগুলিতে। অতি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দামও ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে৷
তবে শুধু ওষুধ নয় নিষেধাজ্ঞার আবহে রাশিয়া থেকে বিদেশী সংস্থাগুলি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার ফলে রাশিয়ানরা চিনি এবং ময়দার মতো প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি মজুত করতে শুরু করেছিল। জানা গিয়েছে হরমোনজনিত রোগের চিকিতসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ অপ্রতুল হয়ে আসছে রাশিয়ায়। ফার্মেসিগুলির বাইরে সারিবদ্ধ লাইন পড়ছে৷ গত মাস থেকেই ওষুধের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে রাশিয়ায়। যদিও বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ায় ওষুধ সরবরাহে সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেনি। কিছু কর্পোরেশন, যেমন মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক লিলি, তাদের ব্যবসা সীমিত করার এবং ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের মতো জরুরী চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ কম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুইস ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট নোভারটিস এবং ফরাসি ফার্ম সানোফি দ্বারা অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, যারা রাশিয়ায় বিজ্ঞাপন বন্ধ করার এবং দেশে চলমান ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য রোগীদের নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ২৩ শে মার্চ প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে যে তারা রাশিয়ায় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ করবে না।
তবে রাশিয়ায় বর্তমান ওষুধ সংকটের প্রধান কারণ হল শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ান ব্যাঙ্কগুলিকে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, যার ফলে দেশের ফার্মেসিগুলি ওষুধ আমদানির জন্য অর্থ প্রদান করতে পারেনি। সমস্যা রয়েছে সরবরাহ ব্যবস্থায়ও। যেহেতু কিছু শিপিং কোম্পানি, যেমন আন্তর্জাতিক পরিবহন বাজারের সবচেয়ে বড় সংস্থা মারস্ক, রাশিয়ায় এবং বাইরে সমস্ত পণ্যবাহী পরিবহন স্থগিত করেছে। যার ফলে ওষুধের চাহিদা থাকলেও সময় মতো তার যোগান দিতে পারছে না রাশিয়ান কোম্পানিগুলি।