চিনের বিরুদ্ধে খাপ্পা পাক জনগণ! করোনা উপেক্ষা করে ইমরান-জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় মানুষ
পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা একটু একটু করে পাকিস্তান চিনকে 'দান' করেছে। এই অঞ্চলের এই এলাকাগুলি চিনের হাতে তুলে দেওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোরের রাস্তা আরও মসৃণ করা। ৩২১৮ কিলোমিটার লম্বা এই করিডোর আদতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের 'ড্রিম প্রোজেক্ট।'
চিন বিরোধী মিছিল দেখা যায় মুজাফফারাবাদে
সেই ড্রিম প্রজেক্টের অন্তর্গত আরও একটি প্রোজেক্ট হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঝিলাম নদীর উপর নির্মীয়মাণ একটি বাঁধ। আর এতেই খেপেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। করোনা উপেক্ষা করে চিনের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। সোমবার এরমই এক মিছিল দেখা যায় মুজাফফারাবাদে।
স্বাধীনতা চাইছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর
কয়েকদিন আগেই হ্যাক করা হয়েছিল পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গণসংযোগ আধিকারিকের সরকারি ওয়েবসাইট। আর সেখানে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি গতবছরের বালাকোট অভিযান পরবর্তীতে দুই দেশের যুদ্ধবিমানের ডগফাইট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয় সেই বার্তায়। এছাড়া কাশ্মীরে পাক সেনা ও পুলিশের মানবাধিকা লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয় ওই বার্তায়।
পাকিস্তানের উপর চিনের সঙ্গ ছাড়ার চাপ বাড়ছে
এদিকে পাকিস্তানের উপর ক্রমেই চিনের সঙ্গ ছাড়ার জন্য চাপ বাড়ছে। চিন চিরকালই পাকিস্তানকে নিজেদের পাশে পেয়েছে। বর্তমান লাদাখ উত্তেজনা ও করোনা আবহতেও পাকিস্তান অন্ধ ভাবে বেজিংকে অনুসরণ করছে। তবে এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশ্বের দরবারে খুব শীঘ্রই পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এই বিষয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ইসলামাবাদের কপালে।
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের সুপারিশ
জানা গিয়েছে এই বিষয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক ইতিমধ্যেই সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বেজিং থেকে দূরত্ব তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছে। পাকিস্তানের আশঙ্কা, গোটা বিশ্ব যখন চিনের উপর খাপ্পা, সেই সময় চিনের সঙ্গ না ছাড়লে খুব শীঘ্রই, আমেরিকা সহ বিশ্বের সব শক্তিশালী দেশ পাকিস্তানকেও একঘরে করে দিতে পারে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের এয়ারলাইন্সের ইউরোপের মাটিতে অবতরণের অনুমতি কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
ইমরান-জিনপিংয়ের উপর খাপ্পা পাক জনগণ
লাদাখ সীমান্তে চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি ভারত ও চিনের মধ্যে। এরই মধ্যে কাশ্মীর সীমান্তে বারংবার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এরই মাঝে কাস্মীরে বেড়েছে জঙ্গি তৎপরতা। আর এরই মাঝে জানা গিয়েছে, গিলগিট-বালতিস্তানে প্রায় ২০ হাজার বাড়তি সেনা পাঠিয়েছে পাকিস্তান। লক্ষ্য, চিনা বাহিনীকে সহায়তা প্রদান করা। তবে এই বিষয়গুলিকে ভালো চোখে দেখছেন না সেদেশের বাসিন্দারাই।
ইমরানের উপর রাগের কারণ
বিশেষ করে পাক সরকারের উপর খাপ্পা পাক অধিকৃত কাশ্মীরিরা। পাকিস্তানের একাধিক সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ছেড়েই পাকিস্তান করোনা রোধে উদ্যোগ নিয়েছে। পিওকে-তে ওষুধের সংকট থেকে শুরু করে একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে করোনার জেরে। এমনকি সেখানে অত্য়াবশ্যকীয় পণ্য পর্যন্ত পৌঁঠে দিচ্ছে না ইমরান সরকার।
করোনা আবহে অনাথ পিওকে
আরও একটি রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানে যেখানে করোনা রোগীর সন্ধান মিলছে, তাঁদের অনেককেই ভারতের কাশ্মীর সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় ফেলে দিচ্ছে পাকিস্তানি সেনা। নির্মমতার একশেষ পাকিস্তান, পাক অধিকৃত কাশ্মীর জুড়ে এমনই তাণ্ডব চালাচ্ছে। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে যে সাহায্য পৌঁছচ্ছে না। তা নিয়ে ক্রমাগত পিওকেতে ক্ষোভ চড়ছে। সেদেশের একাধিক নেতা তথা পিওকে-র স্থানীয় নেতারাই এই সমস্যার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। এরই মাঝে এবার চিনের বিরোধিতায় রাস্তায় নামলেন সেখানকার বাসিন্দারা।
গালওয়ানে পিছু হটেও চিনের নজরে লাদাখ! ড্রাগন বাহিনীর মতলব বুঝে বিশেষ 'অপারেশন' ভারতীয় বায়ুসেনার