হোয়াইট হাউসে বিক্ষোভ, ভয়ে–আতঙ্কে বাঙ্কারের মধ্যে লুকিয়ে থাকলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
হোয়াইট হাউসে বিক্ষোভ, ভয়ে–আতঙ্কে বাঙ্কারের মধ্যে লুকিয়ে থাকলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
পুলিশ হেফাজতে অ্যাফ্রো–আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে পথে নেমেছে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। এই উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার রাতে একদল বিক্ষোভকারী পৌঁছে গেল হোয়াইট হাউস চত্বরের কাছাকাছি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসে বিক্ষোভকারীদের জমায়েতের ফলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাঁর গোপন সুরক্ষাবাহিনী ট্রাম্পকে শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারের মধ্যে নিয়ে যায়। যদিও মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বোধহয় আতঙ্কেই রয়েছেন। কারণ একে তো দেশে করোনা সংক্রমণের কোপ তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে শ্বেতাঙ্গ–কৃষ্ণাঙ্গ দ্বণ্দ্ব।
বাঙ্কারের মধ্যেই আতঙ্কে দিন গুনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
টাইমসের রিপোর্ট বলছে, ট্রাম্পের সুরক্ষা নিয়ে শুক্রবার চিন্তিত ছিলেন গোপন সুরক্ষা বাহিনী এবং হোয়াইট হাউসের কাছেই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারাদের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরই গোপন সুরক্ষা এজেন্টরা ট্রাম্পকে নিয়ে বাঙ্কারে চলে যায়। যদিও রিপোর্টে এটা উল্লেখ করা হয়নি যে শনিবার বিক্ষোভকারাদের কাছে সবচেয়ে হিংস্র রাত ছিল, কিন্তু ট্রাম্প ওইদিন আদৌও বাঙ্কারের ভেতর ছিলেন কিনা বা রবিবারও তিনি তা ব্যবহার করেছেন কিনা সে বিষয়ে রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ নেই।
অতীতেও প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় বাঙ্কার ব্যবহহৃত হয়েছে
ট্রাম্প বিগত কয়েকদিন ধরে টুইটারে দেশে আইন শৃঙ্খলা প্রয়োগ যথেষ্ট নয় বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। বিশেষ করে ট্রাম্প নিন্দায় সরব হন দেশের স্থানীয় গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব নিয়ে এবং দেশে হিংসার ঘটনা রুখতে সেনা বাহিনী নামানোর পরামর্শ দেন। তবে ট্রাম্প ছাড়াও প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ সালে সন্ত্রাসবাদী হামলার সময় উল্লেখযোগ্যভাবে বাঙ্কার ব্যবহার করেছিলেন। কারণ তখন আশঙ্কা করা হয়েছিল যে একটি হাইজ্যাক হওয়া বিমান হোয়াইট হাউসের দিকে আসতে পারে।
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের
পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়, আর তারপর থেকেই ওই ঘটনার বিরুদ্ধে ক্রমাগত মানুষের ক্ষোভ দানা বাঁধছে। রবিবার ছিল সেই বিক্ষোভের সপ্তম দিন। মিনেসোটার ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক সেফটির কমিশনার জন হ্যারিংটন বলেন, ‘গত সোমবার অর্থাৎ ২৫ মে হ্যান্ডকাফ পরা ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট চেপে ধরে থাকেন ডেরেক শভিন নামের শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা। ওই কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশ যে অত্যাচার করেছে তা পথচারীরা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।' বিক্ষোভকারীরা ফ্লয়েডের নামে স্লোগান দিয়ে বলছেন ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না'। শভিনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং থার্ড-ডিগ্রি খুনের ধারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এই ঘটনার জন্য আরও তিন পুলিশ আধিকারিকের শাস্তি চেয়ে প্রতিবাদ করছেন।
আসল বিক্ষোভ শুরু হয় শুক্রবার থেকে
শুক্রবারই ওই যুবকের হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভের সময় মিনেসোটা, নিউইয়র্ক এবং আটলান্টায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। লস অ্যাঞ্জেলস থেকে শুরু করে নিউইয়র্কে শুরুর দিকে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবেই নিজেদের দাবি তুলে ধরছিলেন। কিন্তু পরের পরিস্থিতি ঘোরালো হয়, সিএনএন-এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুলিশের গাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।
করোনা অদৃশ্য শত্রু, আর আমাদের করোনা যোদ্ধারা অজেয়, তাঁদের উপর হামলা বরদাস্ত নয়, হুঁশিয়ারি মোদীর