চিনের বিরুদ্ধে ক্রুদ্ধ খোদ পাকিস্তানি জনতা! করোনা আবহেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ অধিকৃত কাশ্মীরে
পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা একটু একটু করে পাকিস্তান চিনকে 'দান' করেছে। এই অঞ্চলের এই এলাকাগুলি চিনের হাতে তুলে দেওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোরের রাস্তা আরও মসৃণ করা। ৩২১৮ কিলোমিটার লম্বা এই করিডোর আদতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের 'ড্রিম প্রোজেক্ট।'
চিনা বাঁধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
সেই ড্রিম প্রজেক্টের অন্তর্গত আরও একটি প্রোজেক্ট হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঝিলাম নদীর উপর নির্মীয়মাণ একটি বাঁধ। আর এতেই খেপেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। করোনা উপেক্ষা করে চিনের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। এরমই এক মিছিল দেখা যায় মুজাফফারাবাদে।
সৌদি আরবের ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুকিয়েছে পাক সরকার
এদিকে এই চিনের সাহায্যেই সৌদি আরবের ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুকিয়েছে ইসলামাবাদ। তাই আপাতত বেজিংয়ের গোলাম হয়ে থাকতে বাধ্য থাকবে ইমরাম খান। প্রায় দেউলিয়া অবস্থা পাকিস্তানের। এই আবহেই পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রেখে আর্থিক বিপদে ফেলে দিয়েছে এফএটিএফও। এই আবহেই চিনের থেকে ঋণ নিয়ে সৌদি আরব থেকে নেওয়া ঋণ শোদ করতে হয়।
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের ঘ্যানঘ্যান
উল্লেখ্য, পাকিস্তান চেয়েছিল ৫ অগাস্টকে কেন্দ্র কের কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানকে নিন্দা করুক আরবদেশগুলি। তাই ওআইসির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তান কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলতেই ৫৭ সদস্যের ওআইসি তা নস্যাৎ করে।
সৌদিকে পাকিস্তানের আক্রমণ
তারপরই কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে না দাঁড়ানোয় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি সৌদিকে সতর্ক করেছিলেন। সেই সতর্কবার্তার খেসারত অবশ্য পাকিস্তানকে চুকাতে হল। আর সৌদির মান ভঞ্জনে এবার সেদেশে পাক সেনার প্রধানকে পাঠাতে চলেছেন ইমরান খান। এমনটাই জানা গিয়েছে।
পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়ছে
এদিকে পাকিস্তানের উপর ক্রমেই চিনের সঙ্গ ছাড়ার জন্য চাপ বাড়ছে। চিন চিরকালই পাকিস্তানকে নিজেদের পাশে পেয়েছে। বর্তমান লাদাখ উত্তেজনা ও করোনা আবহতেও পাকিস্তান অন্ধ ভাবে বেজিংকে অনুসরণ করছে। তবে এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশ্বের দরবারে খুব শীঘ্রই পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এই বিষয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ইসলামাবাদের কপালে।
স্বাধীনতা নয়, জুটেছিল পরাধীনতা! ১৪ অগাস্ট কালো দিবস পালন করবেন বালোচ-সিন্ধি-কাশ্মীরিরা