
বিবিসিকে ভারত বিরোধী তকমা দিয়ে প্রবল বিক্ষোভ লন্ডনে! ভুয়ো খবর ছাপার অভিযোগ
বিবিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন একদল মানুষ! তাঁদের দাবি, বিবিসি একটি ভারত বিরোধী এবং হিন্দু বিরোধী সংস্থা। তাই ব্রিটিশ হিন্দু ওর্গানাইজেশনের তরফে এই বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। লন্ডনে বিবিসির হেড কোর্য়াটারের সামনে 'হিন্দু ফোবিয়া এবং ইন্ডিয়া ফোবিয়ার' বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর কথা রয়েছে ওই হিন্দু সংগঠনের। গত সেপ্টেম্বর গার্ডিয়ান সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে একই ভাবে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল।

সেখানে বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, ভুয়ো খবর ছাপা হয় ওই সংবাদমাধ্যমে। এবার বিক্ষোভ খোদ বিবিসির বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীরা বিবিসির ডেরাক্টের জেনারেল কিম ডেভির হাতে একটি স্মারক লিপি তুলে দেবেন। তদের অভিযোগ, বিবিসি বরাবরই হিন্দুত্ব বিরোধী খবরে জোর দিয়েছে। গত ১৮ বছরে সেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে বলে দাবি।
সংস্থার তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে হিন্দুত্বের উপর একটি গোষ্ঠীর হামলার ঘটনায় ভালো ভাবে সংবাদমাধ্যমেই তুলেই ধরেনি বিবিসি। হিন্দু সংস্কৃতিকে বিবিসি মুছে ফেলার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেছে ওই সংস্থা। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা, বিবিসি যতক্ষণ না পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসবে ততক্ষণ আন্দোলন চলতেই থাকবে।
এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন ডক্টর বিবেক কাউল, ডক্টর কাঠোরিয়া সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব। যারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ জায়হাতে রয়েছেন বলেই খবর। এই বিক্ষোভের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওই সংগঠন বিবিসি সংবাদ প্রচারের ইতিহাসের দিকে চোখ রেখেছে। তাঁরা উল্লেখ করছেন আলাসদায়ির পিংকাটন গবেষণার কথা। ১৯৪৭ সালের পর থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিবিসির খবর সম্প্রচার ভারত নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন ওই ব্যক্তি।
সেখানেই বিবিসির বিরুদ্ধে ভারত বিরোধীতার অভিযোগ করা হয়েছে। বিশেষত কোল্ড ওয়ারের সময় বিবিসি যেভাবে সম্প্রচার করেছে তা নিয়ে সমালোচনা করেছেন অউ গবেষক। এমনকি বেশ কিছু বিতর্কিত সংবাদের কথা উল্লেখ করেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁদের দাবি, বিবিসি প্রতিনিয়ত বিদ্বেষ মূলক খবর প্রকাশ করছে।
এমনকি দিনের পর দিন মিথ্যা খবর প্রকাশ করলে একটা বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়ে যায়। বিবিসি নাকি হিন্দুত্বের সম্পর্কে কিছু লেখার সময়ে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ ব্যবহার করে থাকে বলেও অভিযোগ। উল্লেখ যোগ্য ভাবে সেই শব্দগুলি খুবই বিতর্কিত। সেগুলিই ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভারত এবং হিন্দুদের ব্যাপারে মিথ্যা খবর প্রচার করছে বলেও দাবি করছে ওই সংগঠন।
বিবৃতিতে বিবিসিকে বলা হয়েছে বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং বৃহত্তম অর্থনীতির বিরুদ্ধে কথা বলে ভারত এবং ব্রিটেনের সম্পর্ককে নষ্ট করতেচ চাইছে বলে অভিযোগ ওই সংগঠনের।
'দেখা না হওয়াই ভাল, কিসের আবার সৌজন্য', তাপস-সুদীপ বরফ গলেনি এখনও