কথা রাখল আমেরিকা, দরিদ্র দেশগুলিতে পাঠাল ১১কোটি ভ্যাকসিন! কিন্তু কেন টিকা পেল না ভারত?
দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। এদিকে মারণ করোনার হাত থেকে বাঁচতে টিকাই যে একমাত্র শেষ সম্বল সে কথা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন সময়ে ভারতে করোনার ব্যাপক বৃদ্ধি হওয়ায় অনেকটাই ধাক্কা খায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স ফেসিলিটি। গ্লোবাল পোগ্রামে টিকা পাঠাতে ব্যর্থ হয় সিরাম ইন্সটিটিউট। এদিকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মাঝারি ও স্বল্প আয়ের দেশগুলিতে ১১ কোটি ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে ভারত।

প্রাথমিক ভাবে ৮ কোটি টিকা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আমেরিকা
মঙ্গলবার এই তথ্য দিয়েছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যার মধ্যে সিংহভাগই অ্যাস্ট্রাজেনেকের করোনা টিকা। এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনা সঙ্কটের মাঝেই কিছুদিন আগে বিশ্বের মাঝারি ও স্বল্প আয়ের দেশগুলির পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আমেরিকা। এমনকী কমপক্ষে ৮ কোটি ভ্যাকসিন পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে প্রতিশ্রুতি পূরণ করেও বেশি টিকা পাঠিয়েছে মার্কিন মুলুক। আর তাতেই খুশির হাসি ফুটেছে দরিদ্র দেশগুলির মুখে।

পাকিস্তান, বাংলাদেশে পৌঁছেছে মার্কিন টিকা
ইতিমধ্যেই পাকিস্তান, বাংলাদেশে পৌঁছেছে মার্কিন টিকা। তবে আমেরিকার থেকে কোনও ভ্যাকসিনই সাহায্য স্বরূপ নেয়নি ভারত। ভারত সরকার এবং ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের মধ্যে কিছু আইনত জটিলতার কারণেই ভারতে ভ্যাকসিন পাঠাতে পারেনি আমেরিকা। অন্যদিকে অস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি একাধিক দেশে মডার্না, ফাইজার ও জনসেনের টিকা পাঠিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণেই এই তিনটি টিকার আমদানি আটকে রয়েছে ভারতে।

আমদানি সম্পর্কিত আইনি জটিলতার জের
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিকও স্পষ্ট ভাষাতেই জানান আমদানি সম্পর্কিত আইনি জটিলতা কাটিয়ে উঠতে না পারায় আপাতত স্থগিত ভারত-আমেরিকার টিকা লেনদেন। এদিকে সমস্যার কথা স্বীকার করে কিছুদিন আগেই আমেরিকার রাজ্য বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, "ভারতের তরফে আইনি সঙ্কেত পেলেই ভ্যাকসিন পাঠাব আমরা।" এদিকে মার্কিন ভ্যাকসিনের এ জাতীয় আন্তর্জাতিক আমদানি-রফতানিতে সহায়তা করছে হু-র 'কোভ্যাক্স' ফেসিলিটি।

টিকা এসেছে নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপেও
এদিকে অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়তে বর্তমানে সকল দেশকেই একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন হু প্রধান টেডরস আধানম ঘেব্রেসিস। এমনকী করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতিতে টিকা ও ওষুধ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকা একইসঙ্গে কাজ করলে সকল স্বাস্থ্যক্ষেত্রের প্রভূত উন্নতি সম্ভব হবে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অন্যান্য আধিকারিকেরাও। অন্যদিকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ছাড়াও নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপেও টিকা পাঠিয়েছে আমেরিকা।