ভারতের 'প্রতিবেশী প্রথম' নীতিতে আপনারাই আগে, নেপালের মন পেতে আর যা বললেন মোদী
ভারতের নেবারহুড ফার্স্ট নীতিতে তারাই প্রথমে বলে নেপালকে আশ্বস্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশে থাকলে বলেন, 'ইন্ডিয়া ফার্স্ট', নেপালে গিয়ে তুললেন 'নেইবারহুড ফার্স্ট' নীতির কথা। বললেন, নেপাল এই নীতিতে তালিকায় সবার আগে আছে। পাশপাশি তার প্রমাণ স্বরূপ সীতার জন্মভূমি বলে পরিচিত জনকপুরের উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্যাকেজও ঘোষণা করলেন। পুরাণকথার সূত্র ধরে নেপাল-ভারতের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
নেপালের বরবিঘার জনকপুরে, এক তাঁকে গনসম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে বলতে উঠে তিনি ভাষণ শুরু করেন তিনবার 'জয় সীয়া রাম' বলে। তারপর বলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নন, জনকপুরে এসেছেন প্রধান তীর্থযাত্রী হয়ে। এভাবেই শুরু থেকেই নেপালি জনতার মন জিতে নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
সেখানেই রামচরিতমানস থেকে উদ্ধৃত করে মোদী বলেন, 'মিত্রের দুর্ভোগে কেউ দূরে সরে থাকতে পারে না। প্রকৃত বন্ধু সবসময়ই খারাপ সময়ে তার বন্ধুর পাশে দাঁড়ায়'। এরপরই তিনি বলেন, 'যখনই কোনও সমস্যা এসেছে ভারত ও নেপাল একসঙ্গে তার মোকাবিলা করেছে। সবচেয়ে খারাপ সময়ে আমরা একে অপরের পাশে থেকেছি। নেপাল ভারতের 'নেইবারহুড ফার্স্ট' বা 'প্রতিবেশী প্রথম' নীতিতে অগ্রাধিকার পাবে বলে নেপালকে আশ্বস্ত করেন মোদী।
'নেইবারহুড ফার্স্ট' নীতিতে নেপালকে অগ্রাধিকার দিয়ে কি কি দিচ্ছেন মোদী? এদিনই জনকপুর থেকে অযোধ্যা বাস যাত্রা চালু হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে ভারত সরকারের ধর্মীয় পর্যটন 'রামায়ণ সার্কিট'-এ জনকপুরকে জুড়ে দেওয়া হল। এছাড়া জনকপুর ও তার আশপাশের এলাকার উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের তীর্থগুলিকে জুড়েও আরও দুটি সার্কিট হবে বলে জানিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তিনি তিনি নেপালের সঙ্গে যৌথভাবে পাঁচটি ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটানোর কথা বলেছেন। ঐতিহ্য, বানিজ্য, পর্যটন, প্রযুক্তি ও যোগাযোগ-এর বিকাশে দুদেশই লাভবান হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।