আরও কড়া হোক এইচ-১বি ভিসা আইন, চান মার্কিন ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস-এর ডিরেক্টর
ইউএসসিআইএসের ডিরেক্টর এল ফ্রান্সিস কিসনা বলেছেন মার্কিন আইন, আমেরিকান কর্মীদের বদলে এইচ -১ বি ভিসাধারীদের নিয়োগ করা নিষিদ্ধ করলে তিনি খুশি হবেন।
আমেরিকান কর্মীদের ছাটাই করে এইচ-১বি ভিসাধারীদের সেই জায়গায় নিযুক্ত করা রুখতে আইন চান ইউনাইটেড স্টেটস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস-এর ডিরেক্টর এল ফ্রান্সিস সিসনা। সম্প্রতি আমেরিকায় এইচ-১বি ভিসা দেওয়া ও তার মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট ওয়াশিংটন ডিসিতে অভিবাসন বিরোধী একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজ-এর উদ্যোগে 'ইমিগ্রেশন নিউজমেকার' নামে একটি আলোচন সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে সেই সভার ট্রান্সস্করিপ্ট প্রকাশিত হলে সিসনার ওই মত জানা গিয়েছে।
সভায় সিসনা বলেন, 'আমি চাই আমেরিকান কর্মীদের বদলে এইচ-১বি কর্মীদের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা এনে মার্কিন কংগ্রেস একটি আইন আনুক। চাইলে আমি এখনই সেই আইনের খসড়া বিল করে দিতে পারি।'
[আরও পড়ুন:আমেরিকায় এবার কাজ হারাবেন ভারতীয় গৃহিনীরা! বেকার হওয়ার শঙ্কা অন্তত ১ লক্ষ জনের]
আমেরিকায় বাইরের দেশ থেকে কাজ করতে এলে এইচ-১বি ভিসা লাগে। কিন্তু দিন দিন এই ভিসা প্রাপ্তি দুরূহ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই ভিসার আবেদন করলে প্রচুর পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে, এবং প্রত্যাখ্যানের হার অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে আবেদন করলে, এমনকী ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলেও তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ইউএসসিআইএস-কে।
[আরও পড়ুন:কাশ্মীরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত ১১ জন পূণ্যার্থী, চলছে বাকিদের খোঁজ]
সিসনার এই মন্তব্যে আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয়দের কপালের ভাঁজ আরও বাড়ল তা বলাই বাহুল্য। ইউএসসিআইএস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৭ সালে মোট ৩.৬৫ লক্ষ এইচ-১বি ভিসার আবেদন জমা পড়েছিল। এর ৭৫.৬ শতাংশই ছিল ভারতীয়দের করা। সিসনা জানান, অভিবাসন আইনের সংস্কার এমনভাবে করতে হবে, যাতে সবচেয়ে প্রতিভাবানরা, যাঁদের আমেরিকার দরকার, তারাই এই ভিসা পেতে পারেন।
[আরও পড়ুন: রাফালে নিয়ে রাহুলকে চিঠি! অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যক্তিগত আক্রমণের জন্য ক্ষোভ অনিলের]