ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর প্রথম বিদেশ সফর, তাজিকিস্তান যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর প্রথম বিদেশ সফর, তাজিকিস্তান যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট
ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের পর প্রথমবারের জন্য বিদেশ সফরে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার পুতিন প্রথমে তাজিকিস্তানে যাবেন। সেখান থেকে ক্যাস্পিয়ান সাগরের দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে তিনি তুর্কমেনিস্তানে যাবেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাজিকিস্তান যাচ্ছেন। রাজধানী দুশানবেতে তাজিক প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমানের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। বুধবার তিনি তুর্কমেনিস্তানে ক্যাস্পিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে তিনি বিদেশ সফরে যাননি।
শেষবার তিনি শীতকালীন অলিম্পিকের সময় চিনা প্রেসিডেন্ট শিন জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে বেজিং গিয়েছিলেন। চলতি বছর নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ সম্মেলন হবে। সেখানে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে উপস্থিত থাকার প্রতিশ্রুতি স্বশরীরে উপস্থিত থাকবেন না কি ভার্চুয়ালি, তা জানা যায়নি।
রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানের পর থেকে পশ্চিমি দেশগুলোর রোষের মুখে পড়েছে মস্কো। আমেরিকা, কানাডা সহ ইউরোপের একাধিক দেশ রাশিয়ার পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, জি-৭ সম্মেলনে রাশিয়ার সোনা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
একাধিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব একদিকে যেমন রাশিয়ার অর্থনীতিতে পড়ছে, তেমনি বিশ্ববাজারে মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। রুশ তেলের ওপর পশ্চিমি দেশের নিষেধাজ্ঞা জারির পরেই রাশিয়ায় তেলের দাম কমিয়ে দেয়। যার ফলে ভারতের পাশাপাশি এশিয়ার একাধিক দেশ রাশিয়ার তেলের ওপর নির্ভর করতে থাকে।
রুশ অভিযানের জেরে বিশ্বে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে রাষ্ট্রসংঘ সতর্ক করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্বজুড়ে খাদ্য সঙ্কটের সম্ভাবনার রাশিয়াকে দায়ী করেছে। যদিও রাশিয়া পাল্টা অভিযোগ করেছে, তাদের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার জেরেই খাদ্যসঙ্কটের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, বিশ্বের একাধিক দেশ খাদ্যপণ্যের ওপর ইউক্রেনের ওফর নির্ভর করে। কিন্তু রুশ অভিযানের জেরে কৃষ্ণ সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ যাতায়ত করতে পারছে না। তাই ইউক্রেন থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। যার জেরে খাদ্য সঙ্কটের সম্ভাবনা আরও প্রবল হবে।
জি-৭ সম্মলনে রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য বিশেষ উপহার, দেশের শিল্পকে তুলে ধরতে অভিনব প্রয়াস প্রধানমন্ত্রীর
ইউক্রেন অভিযানের পর থেকে পশ্চিমি দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার চাপে ক্রমাগত কোনঠাসা রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও সরাসরি চিন রাশিয়াকে সমর্থন করেছে। ভারত সরাসরি সমর্থনের কথা না বললেও, রাশিয়া থেকে আমদানি অব্যাহত রেখেছে।