প্রাণের স্পন্দন শুক্রগ্রহেও? মেঘের রাসায়নিক বিশ্লেষনে চাঞ্চল্যকর তথ্য মহাকাশ বিজ্ঞানীদের
শুক্রগ্রহেও প্রাণের খোঁজ? মেঘের আস্তরণের রাসায়নিক বিশ্লেষনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
মঙ্গলের পর ক্রমেই প্রাণের উপস্থিতির কথা জোরালো হচ্ছে শুক্রগ্রহেও। এই গ্রহের উপরে থাকা মেঘের আস্তরণের রাসায়নিক তথ্য বিশ্লেষণ করেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। যা থেকে এই গ্রহে এলিয়নের উপস্থিতিক কথা জোরের সঙ্গে জানাচ্ছেন গবেষকেরা।
শুক্রেও প্রাণের উপস্থিতি ?
ইতিমধ্যেই নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালেও এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন শুকতারা উপরে যে মেঘের বলয় রয়েছে সেখানেই কিছু অচেনা গ্যাসের গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায় ফসফিন নামেই পরিচিত। ফসফিন এই যৌগটি আসলে তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু এবং একটি ফসফরাস পরমাণুর বিক্রিয়ায় তৈরি।
রসায়নিক বিশ্লেষনই একমাত্র হাতিয়ার
বিজ্ঞানীরা এও জানাচ্ছেন সৌরজগতের বাইরে কোনও মহাজাগতিক গবেষণার জন্য রসায়নিক বিশ্লেষনই একমাত্র হাতিয়ার। এদিকে শুক্রগ্রহের এই অদ্ভূত গ্যাসের সঙ্গে পৃথিবীতে উপস্থিত একাধিক গ্যাসের হুবহু মিল রয়েছে। পাশাপাশি শুক্রগ্রহের অনেকটা উপরের স্তরের মেঘের রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করে সালফিউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতিও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
হাওয়াই এবং চিলিতে বসানো টেলিস্কোপ মারফত বিজ্ঞানীদের হাতে নয়া তথ্য
এই সমস্ত অদ্ভূত গ্যাসেক গতিবিধি নজরে রাখতে হাওয়াই এবং চিলিতে দুটি শক্তিশালী টেলিস্কোপ বসানো হয়েছিল বলে খবর। ওই টেলিস্কোপ মারফত এই সমস্ত নতুন তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে এসেছে। যা থেকেই ক্রমেই জোরালো হচ্ছে শুক্রগ্রহে প্রাণের উপস্থিতির কথা। গবেষকদের ধারণা, ওই গ্যাসের কারণেই শুক্রগ্রহ অনেক অণুজীবীর আবাসস্থল হয়ে থাকতে পারে। যাদের প্রকৃতি সম্পর্কে এখনো আমাদের পর্যাপ্ত কোনও ধারণাই নেই।
১৯৬৭ সালেই শুক্রে প্রাণের উপস্থিতির কথা বলেন বিজ্ঞানী কার্ল সাগান
অন্যদিকে এর আগে বিজ্ঞানী কার্ল সাগান শুক্রের মেঘ সম্পর্কে দীর্ঘ গবেষণা চালিয়ে ১৯৬৭ সালেই প্রাণের উপস্থিতির কথা সামনে আনেন। যদিও পরবর্তীতে এই বিষয়ে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকেও বিশেষ রিসার্চ করতে দেখা যায়নি। কিন্তু বর্তমানে শুক্রের বুকে এই সমস্ত অদ্ভূত গ্যাস সম্বলিত মেঘের গতিবিধিতে ফের জারালো হচ্ছে প্রাণের উপস্থিতির কথা।
অফিস ভাঙার জন্য মূল্যবান সম্পত্তি নষ্ট, বিএমসির কাছে ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের দাবি কঙ্গনার