হারলেন প্রচণ্ড, নেপালে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান মাওবাদীদের
নেপালের সংযুক্ত কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) বা ইউসিপিএনএম সাধারণ নির্বাচনের আগে আত্মবিশ্বাসের ভরপুর ছিল। তারা ভেবেছিল, ২০০৮ সালের মতোই এবারও অধিকাংশ আসনে তারা জয়লাভ করবে। কিন্তু, ভোটের ফল ক্রমশ প্রকাশ হতে শুরু করলে দেখা যায়, নেপালি কংগ্রেস পার্টি তাদের থেকে অনেক আসনেই এগিয়ে রয়েছে। যে দু'টি আসনের চূড়ান্ত ফল ঘোষিত হয়েছে, সেই দু'টিও পেয়েছে নেপালি কংগ্রেস পার্টি। কাঠমান্ডুর একটি কেন্দ্রে পুষ্পকমল দাহাল বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
এর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তিনি অভিযোগ জানান, বিভিন্ন জায়গায় ব্যালট বাক্স নিখোঁজ। গণনা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যালট বাক্স সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অবিলম্বে এর তদন্ত করতে হবে এবং গণনা বন্ধ রাখতে হবে। যদিও নেপালের নির্বাচন কমিশন এই প্রস্তাবে রাজি নয়। দক্ষিণ নেপালের আরও একটি কেন্দ্র, সিরাহা থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রচণ্ড। কিন্তু, সেখানেও তিনি পিছিয়ে রয়েছেন বলে খবর।
৬০১ সদস্যবিশিষ্ট গণপরিষদ জনগণের ভোটে গঠিত হয়েছিল ২০০৮ সালে। কিন্তু, পাঁচ বছরেও তারা সংবিধান প্রণয়নের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি। তাই এবারের ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে যাঁরা গণপরিষদে নির্বাচিত হবেন, তাঁরাই সংবিধান প্রণয়নের কাজ সম্পূর্ণ করবেন। প্রচণ্ডরা চেয়েছিলেন, সমাজতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি সংবিধান রচনা করতে। কিন্তু, এবারের গণপরিষদে মাওবাদীরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়লে নতুন সংবিধানে নেপালি কংগ্রেস পার্টির প্রভাব থাকবে নিঃসন্দেহে। সেক্ষেত্রে 'শোষিত' মানুষের স্বার্থে সংবিধানে ব্যবস্থা থাকবে না বলে আশঙ্কা মাওবাদী নেতৃত্বের। পাশাপাশি, নেপাল যুক্তরাষ্ট্র হবে নাকি এককেন্দ্রিক, তা নিয়েও আগের গণপরিষদ মতৈক্যে পৌঁছতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনের সম্পূর্ণ ফলাফল ঘোষিত হতে আরও সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে বলে অনুমান। কিন্তু, প্রাথমিক গণনায় অধিকাংশ আসনে এগিয়ে আছে নেপালি কংগ্রেস পার্টি যা রক্তচাপ বাড়িয়েছে মাওবাদীদের।