বিদেশের কাছে দেশের বিরুদ্ধে বদনাম! এবার বিএনপি নয়, কাদের অভিযুক্ত করলেন হাসিনা, জেনে নিন
বিদেশের কাছে দেশের বিরুদ্ধে বদনামের অশুভ তৎপরতা চালিয়ে কোনও লাভ হবে না। যতদিন ক্ষমতায় আছেন, ততদিন এসব করে কোনও লাভ হবে না। এমনটাই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিদেশের কাছে দেশের বিরুদ্ধে বদনামের অশুভ তৎপরতা চালিয়ে কোনও লাভ হবে না। যতদিন ক্ষমতায় আছেন, ততদিন এসব করে কোনও লাভ হবে না। এমনটাই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কথা প্রসঙ্গে এক শ্রেণির শ্রমিকনেতার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বিরোধীদলকে নির্বাচনে আনতে কোনও সাহায্য নয়! আর যা বললেন ওবায়দুল কাদের]
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যতদিন ক্ষমতায় আছেন বাইরের কারও কাছে নালিশ করে কোনও লাভ হবে না। তিনি জাতির জনকের কন্যা এবং দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবেসেই রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তিনি যা কিছু করেছেন তা দেশের কল্যাণের জন্যই করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, লাখো শহিদের রক্তে রঞ্জিত তাদের এই স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখা, দেশবাসী এবং দেশকে বিশ্বের দরবারে সম্মানিত করা, এটাই তাদের লক্ষ্য। কারও কাছে মাথা নিচু করা নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের দুর্ভাগ্য। কিছু কিছু লোক শ্রমিকনেতা সাজতে গিয়ে তারা জীবনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করুক আর না-ই করুক, শ্রমিকদের ওপর একটু খবরদারি করে। আর একটু কিছু হলেই বিদেশিদের কাছে গিয়ে নালিশ করে, আর দেশের বদনামটা তুলে ধরে। তিনি বলেছেন, এই বদনামটা তুলে ধরতে গিয়ে হয়তো একখানা টিকিট বিনে পয়সায় পান, বিদেশে থাকার একটু সুযোগ পান, একটু সেখানে যেতে পারেন, কিছু সুযোগ-সুবিধা পান। আর ওই একটু সুযোগের জন্য দেশের বদনামটা বাইরে গিয়ে করে আসা দেশের জন্য যে কতটা ক্ষতিকারক, সেটা তাঁরা অনেকেই বুঝতে পারেন না। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের।
অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের চাহিদার দিকে দৃষ্টি রেখে দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তুলতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমকল্যাণ নিশ্চিতকরণে তারা "জাতীয় শ্রমনীতি-২০১২" প্রণয়ন করেছেন। "বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫" প্রণয়ন করেছে। তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, ভরসা রাখবেন, তাঁদের কোনও অসুবিধা হলে তিনি তো আছেনই।