ডোকলাম বিতর্ক কাটিয়ে মঙ্গলে বৈঠক মোদী-জিনপিংয়ের, তাকিয়ে গোটা বিশ্ব
সম্পর্কের শৈত্য কাটিয়ে অবশেষে ব্রিকস সম্মেলন উপলক্ষ্যের ফাঁকে চিনে মিলিত হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী ও জি জিনপিং।
ডোকলাম ইস্যুতে ভারত-চিন সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছিল। মনে হচ্ছিল যেকোনও সময় যুদ্ধ বাঁধল বলে। তবে সম্পর্কের শৈত্য কাটিয়ে অবশেষে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে চিনে মিলিত হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী ও জি জিনপিং।
বেশ কয়েকমাস পরে ফের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হতে চলেছেন দুই দেশের প্রধান। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ মোদী বৈঠক করবেন জিনপিংয়ের সঙ্গে। তারপর সেখান থেকে মায়ানমার রওনা দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
গত জুন মাস থেকে ডোকলামের তরাই এলাকার দখল নিয়ে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব চলেছে। ৭৩ দিনের অচলাবস্থার পর অবশেষে দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে রাজি হয়েছে। ফলে মোদী-জিনপিং বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার উপরেই জোর দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রথম ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত পাঁচটি দেশ একযোগে পাকিস্তান থেকে তৈরি সন্ত্রাসবাদের কড়া সমালোচনা করেছেন। সেদেশের মাটি ব্যবহারকারী জঙ্গিগোষ্ঠী. হাক্কানি নেটওয়ার্ক ইত্যাদি সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে, তাতে মদত দিচ্ছে পাক সরকার। এমনটাই অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি এই জঙ্গি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অত্যন্ত তাতপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ শুধু সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাই নয়, দক্ষিণ এশিয়াতে অর্থনৈতিক লেনদেনের সিংহভাগই ভারত-চিনের উপরে দাঁড়িয়ে। ফলে কূটনৈতিক দিক থেকে না হলেও বাণিজ্যের প্রশ্নে ভারত-চিনকে একে অপরের হাত ধরতেই হবে।
এর আগে এদিন নরেন্দ্র মোদী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মাইকেল তেমেরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। মঙ্গলবার জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার পরে মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠক করে মায়ানমার উড়ে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।