ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পূর্বে আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়দের যে গর্বের উপাখ্যান শোনালেন নরেন্দ্র মোদী
ওয়াশিংটন ডিসির উপকণ্ঠে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেন মোদী। সেখানে ভারতীয়দের ভারত নিয়ে গর্বের নানা উপাখ্যান শোনান তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত সাক্ষাতের আগে সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং বারাক ওবামার আমলে প্রথম ভাষণে ম্যাডিসন স্কোয়ারে যেখানে শেষ করেছিলেন, এদিন যেন সেখান থেকে শুরু করে বদলে যাওয়া ভারতের উপাখ্যান শোনালেন গর্বের সঙ্গে। ওয়াশিংটন ডিসির উপকণ্ঠে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেন মোদী। কী কী প্রসঙ্গে কথা বললেন তিনি, দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
সন্ত্রাসবাদ
ভারত যখন সন্ত্রাসবাদ ইস্যু নিয়ে সারা বিশ্বের কাছে দরবার করেছিল, অনেক দেশ সেইসময়ে সেটাকে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। আর আজ সন্ত্রাসবাদীরাই সন্ত্রাসবাদের মানে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। আমাদের আর আলাদা করে কিছু বলতে হয়নি। সারা বিশ্ব আজ সন্ত্রাসবাদের কবলে পড়ে জর্জরিত। এটা মানবজাতির শত্রু।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক
যখন ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে, তখন সারা বিশ্ব ভারতের শক্তি সম্পর্কে অবগত হয়েছে। ভারত সহনশীল দেশ। সহনশীলতা আমাদের সংষ্কৃতিতে রয়েছে। তবে প্রয়োজনে আমরা ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারি। আর তাই বিশ্বের কোনও দেশ ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেনি।
বিনিয়োগ
আমেরিকায় সারা ভারতের প্রতিটি রাজ্য থেকে মানুষ এসে বাস করছেন। আগে দেশে ফিরে নোংরা, অনুন্নয়ন দেখে অনেকেই ভুরু কুঁচকে উঠতেন। তবে গত কয়েকবছরে যে উন্নতি হয়েছে তাতে সকলেই খুশি। নতুন ভারতের দিকে আমরা এগোচ্ছি্। ফলে যারা ভারতীয়রা এদেশে রয়েছেন, তাঁরা ভারতমাতার ঋণ যদি শোধ করতে চান তাহলে আপনাদের বলতে পারি যে এটাই উপযুক্ত সময়।
যুব সম্প্রদায়
যে দেশের ৮০ কোটি মানুষের বয়স ৩৫ বছরের নীচে সেদেশ উন্নতির পথে এগোবে সেটাই স্বাভাবিক। ভারতের যুব সম্প্রদায়ের প্রতিভা, মনের জোরকে আজ সারা বিশ্ব কুর্ণিশ করছে। আগামিদিনে ভারতের যুব সম্প্রদায়ই হবে দেশের ধারক ও বাহক। সেই যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব রয়েছে সকলের কাঁধে। ভারতের উন্নতিতে অনেকে এগিয়ে আসতে চাইছেন। কারণ ভারত দ্রুতগতিতে উন্নতির দিকে ধাবমান।
বিদেশমন্ত্রক
আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রক স্যুট, টাই পরা মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে গত তিনবছরে বিদেশমন্ত্রক সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পেরেছে। বিদেশ থেকে হাজারো ভারতীয়কে বিপদের সময়ে উদ্ধার করে এনেছে বিদেশমন্ত্রক। সুষমা স্বরাজকে রাত ২টোর সময়ে টুইট করলেও ১৫ মিনিটের মধ্যে জবাব আসে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন নেওয়া হয়। এভাবেই দ্রুততার সঙ্গে সকলের কাছে পৌঁছে যেতে পেরেছি আমরা।