জলবায়ু পরিবর্তনে রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে প্রশংসা ভারতের, বাড়ল মোদীর গুরুত্ব
হাউডি মোদীর ঘোর কাটতে না কাটতেই ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবারের মঞ্চ আরও বড়। রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু সামিট। এই প্রথমই এই সামিটে অংশ নিচ্ছেন তিনি।
হাউডি মোদীর ঘোর কাটতে না কাটতেই ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবারের মঞ্চ আরও বড়। রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু সম্মেলন। এই প্রথমই এই সামিটে অংশ নিচ্ছেন তিনি। কয়েকদিন আগেই পরিবেশ রক্ষায় ভারতের উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টনি গুয়াত্রেস। সেই সুবাদেই ভারতের গুরুত্ব যে জলবায়ু সম্মেলনে একটু বেশিই থাকবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
জলবায়ু সামিটে ভাষণ দেবেন মোদী
আজই নিউইয়র্কে বসছে রাষ্ট্রপু্ঞ্জের জলবায়ু সামিট। সেখানে গুটি কয়েক দেশেরই অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাতে জায়গা করে নিেয়ছে ভারতও। এবারই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই বৈঠকে ভাষণ দেবেন। মনে করা হচ্ছে এই সামিটে মোদী পুনর্নবীকরণ শক্তি নিয়ে কথা বলবেন। কারণ ভারত সৌর শক্তির ব্যবহারে যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে তার প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব। চতুর্থ স্থানে বক্তব্য রাখবেন মোদী। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচির অ্যান্টনি গুয়াত্রেস, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন, মার্শাল দ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিল্ডা হেইন এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের পরেই বক্তব্য রাখার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর।
জলবায়ু বৈঠকে গুরুত্ব
২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তির পরেই গঠন করা হয়েছিল এই জলবায়ু সামিট। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল পরিবেশ রক্ষায় অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা। প্রথম অ্যাকশন প্ল্যানটি তৈরি হয়েছিল ২০১৫ সালে তার পর থেকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পরিবেশ রক্ষায় নতুন অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবং আগের অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী কোন দেশে কতটা কাজ হয়েছে তার রিপোর্টও জমা করতে হয় এই সামিটে। মনে করা হচ্ছে সামিটে এবার মহাসচিব সব েদশকেই পরিবেশ রক্ষায় একটি বাস্তব পরিকল্পনা তৈরি করার কথা বলবেন। যা কার্যকর করতে বেগ পেতে হবে না কোনও দেশকেই। প্যারিস চুক্তিতে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন গ্যাসের পরিমাণ ৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনার টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে গ্রিন গ্যাস নিশ্চিহ্ন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ রক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রশংসিত ভারত
পরিেবশ রক্ষায় একাধিক পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্লাস্টিক মুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। গান্ধী জয়ন্তি থেকেই গোটা দেশে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে বসেছে একবার ব্যবহারোপযোগী প্লাস্টিক। তার জন্য মহাসচিব প্রশংসাও করেছেন মোদী সরকারের।
এবারের জলবায়ু বৈঠকে মোদী সম্ভবত পুরনো অ্যাকশন প্ল্যানেই বহাল থাকবেন কারণ উন্নয়নশীল দেশ গুলির পক্ষে অ্যাকশন প্ল্যান কার্যকর করার জন্য টাকা এবং প্রযুক্তিগত সাহায্য করা সম্ভভ নয় বলে জানাবেন। এর জন্য উন্নত দেশের সাহায্য নেওয়ার প্রস্তাব দেবেন মোদী।
[বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসবেই না! এনআরসি আতঙ্ক উড়িয়ে জনতাকে বার্তা মমতার]
[ দাউদকে সামনে রেখে এবার পাকিস্তানের নয়া ছক! নাশকতার নেশায় নতুন গেমপ্ল্যানে ISI]