ইজরালেয়ের পর ঐতিহাসিক প্যালেস্তাইন সফরে মোদী, যাবেন আরও দুই দেশে
প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্যালেস্তাইন সফরে গিয়ে এক ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণ তৈরি করতে চলেছেন তিনি। এদিন মোদী উড়ে গেলে প্যালেস্তাইনের উদ্দেশ্যে।
গতবছরের জুন মাসে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইজরায়েল সফর করে ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আট মাসের মধ্যে এবার প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্যালেস্তাইন সফরে গিয়ে আর এক ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণ তৈরি করতে চলেছেন তিনি। এদিন তিনি উড়ে গেলে প্যালেস্তাইনের উদ্দেশ্যে। এছাড়াও ফেরার পথে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও ওমান সফরেও যাবেন তিনি।
প্যালেস্তাইনে নামার আগে প্রথম জর্ডনের রাজধানী আম্মানে নামবেন মোদী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ১০০ কিলোমিটার দূরে প্যালেস্তাইনের রামাল্লা শহরে পৌঁছবেন। এই শহর প্যালেস্তাইনের ডি-ফ্যাক্টো রাজধানী হিসাবে চিহ্নিত।
গতবছরে ভারত সফরে এসে প্যালেস্তাইনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস নিজে মোদীকে সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে গিয়েছেন। সফরের প্রথমেই মোদী প্রাক্তন প্যালেস্তাইন নেতা ইয়াসের আরাফতের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন।
Prime Minister Narendra Modi embarks on three nation visit to Palestine, Oman and the UAE. pic.twitter.com/HhTYMAu7Ld
— ANI (@ANI) February 9, 2018
জানুয়ারিতেই ভারত সফরে আসেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু। ছয়দিনের সফরে মোদী তাঁকে গুজরাতে নিয়ে গিয়েছেন। ভারত ও মোদী সম্পর্কে প্রাণ খুলে প্রশংসা শোনা গিয়েছে নেতানইয়াহুর গলায়। সেই ঘটনার দুই সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ইজরায়েলের ঘোষিত বিরোধী প্যালেস্তাইনে সফর করে চমকে দিলেন মোদী।
ইজরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেও গত পাঁচ দশকে বারবার প্যালেস্তাইনকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে ভারত। এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে পরিস্থিতি বদলেছে। প্রথমে ইজরায়েল তারপরে প্যালেস্তাইন সফর করে মোদী দুই দেশের মধ্যে সন্ধিমূলক অবস্থানে আসতে চাইছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, গতবছরের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে। এই ঘটনায় ভারত সহ পৃথিবীর ১২৭টি দেশ বিরোধিতা করে। এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সাত দশক ধরে সংঘাত চলছে। তবে ভারত বরাবরই দুই দেশের সঙ্গে সৌহার্দ্য বজায় রেখেছে।