১০ দিনের বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী, যোগ দেবেন আসিয়ান, জি-২০ বৈঠকে
এ দিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে তিনি রওনা হন। মায়ানমারের রাষ্ট্রপতি থেইন সেইন-এর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। সেখানকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী আউং সান সু-চি'র সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আগামীকাল থেকে মায়ানমারের ন পি তাউ শহরে শুরু হচ্ছে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শীর্ষবৈঠক। এখানে ভারতের সঙ্গে বৈঠক করবেন আসিয়ান দেশগুলির রাষ্ট্রনায়করা। আলোচ্যসূচিতে রয়েছে থাইল্যান্ড থেকে মায়ানমার হয়ে ভারত পর্যন্ত ৩২০০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ। প্রসঙ্গত, এই রাস্তার নির্মাণকাজ এখন অত্যন্ত ঢিমেতালে চলছে। ২০১৭ সালে এর কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে ২০১৮ সালের আগে তা শেষ হবে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার কর্তৃপক্ষের আলোচনা হবে। এ ছাড়াও বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় তো আছেই। ১৩ নভেম্বর পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির শীর্ষবৈঠকেও উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদী।
১৫ ও ১৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে জি-২০ শীর্ষবৈঠকে যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদী। পৃথিবীর তাবড় রাষ্ট্রনায়ক যেমন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া অলাঁদ, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং প্রমুখের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে নরেন্দ্র মোদীর। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর টোনি অ্যাবটের সঙ্গেও বৈঠক হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে অর্থাৎ ২৮ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। তার পর ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী এতদিন পর সেখানে যাচ্ছেন।
নরেন্দ্র মোদীর শেষ গন্তব্য ফিজি। এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রের জনসংখ্যা হল সাড়ে আট লক্ষ। তার ৩৭ শতাংশ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ফলে সেখানে তিনি রাজকীয় অভ্যর্থনা পেতে চলেছেন। ১৯৮১ সালে ইন্দিরা গান্ধী ফিজি সফরে গিয়েছিলেন। এতদিন আর সেখানে যাননি ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী। সেই রেকর্ডও ভাঙতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী।