তেহরানের উপকণ্ঠে ভেঙে পড়ল বিমান, নিহত ৪০
সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল বিমানটি। ওড়ার কয়েক মিনিট পরই বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় আচমকা। গোঁত্তা খেয়ে বিমানটি আছড়ে পড়ে আজাদ রেসিডেন্সিয়াল ব্লকের একটি রাস্তায়। একটি বাস অল্পের জন্য রক্ষা পায়। বিমানটি মেহরাবাদ থেকে উত্তর-পূর্ব ইরানের তাবাস শহরে যাচ্ছিল।
বিমান দুর্ঘটনার জন্য আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে দায়ী করেছে ইরান। কারণ, আমেরিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিষেধাজ্ঞা চলায় অন্যান্য জিনিসের মতো বাইরে থেকে বিমান কিনতে পারছে না ইরান। আগে যে দু'টি মার্কিন কোম্পানি তাদের বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করত, সেই বোয়িং ও জেনারেল ইলেকট্রিক কিছু রফতানি করছে না। তাই পুরনো লজঝড়ে বিমানই চালাতে হচ্ছে। ইরানের অধিকাংশ বিমানের বয়স ২২ বছর বা তার বেশি। যন্ত্রাংশের অভাবে মার খাচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণের কাজও। ফলে প্রাণ হাতে নিয়ে আকাশে উড়তে হচ্ছে ইরানের যাত্রীদের।