চিনে বিমান দুর্ঘটনা, ৯৫ সেকেন্ডে ২৬ হাজার ফুট থেকে পড়ে যাওয়া, কি হয়েছিল আসলে?
চিনে বিমান দুর্ঘটনা, ৯৫ সেকেন্ডে ২৬ হাজার ফুট থেকে পড়ে যাওয়া, কি হয়েছিল আসলে?
সারা বিশ্ব চিনের বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে হতচকিত হয়ে গিয়েছে৷ দেশটির ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট,এমইউ৫৭৩৫, ১২৩ জন যাত্রী এবং ন'জন ক্রু নিয়ে কুনমিং থেকে গুয়াংজু যাওয়ার পথে গুয়াংজির পাহাড়ে ভেঙে পড়ার খবর ইতিমধ্যে অনেকে জেনে গিয়েছেন৷ কিন্তু কেন হঠাৎ ভেঙে পড়ল এই বিমান? মঙ্গলবার বিশেষজ্ঞদের একটি দল সে নিয়েই খোঁজ খবর শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে৷ কেন এবং কীভাবে ফ্লাইট এমইউ৫৭৩৫ কয়েক মিনিটের মধ্যে ২৯ হাজার ১০০ ফুট উঁচু থেকে নিচে পড়েছিল তা বোঝার জন্য কাজ শুরু করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ জানা গিয়েছে বিমানের এরকম খাড়া ডাইভ বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করেছে, বিশেষ করে যেহেতু বিমানটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কয়েক মিনিট আগে স্বাভাবিকভাবে কাজ করেছে বলে মনে হয়েছে।
চিনের এয়ারলাইন আপতকালিন বিভাগের আধিকারিকরা এবং সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কর্মকর্তারা বিমানটি ভেঙে পড়ার জায়গাটিতে তদনৃত চালাচ্ছেন৷ কিন্তু বেশ উচ্চতা থেকে মাটিতে পড়ার জন্য আঘাতের শক্তি এবং আগুন লেগে যাওয়ার কারণে বিমানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ধ্বংসাবশেষ হয় ছড়িয়ে পড়েছে বা পুড়ে গিয়েছে। ফ্লাইট এমইউ৫৭৩৫ কুনমিং থেকে গুয়াংজু যাচ্ছিল যখন ভারতীয় সময় সকাল ১১.৫০ এ ২৯ হাজার ১০০ ফুট উপরে থাকা অবস্থা থেকে ১৩৫ সেকেন্ড পরে এটি ৯০৭৫ ফুটে নেমে এসেছিল৷ আরও ২০ সেকেন্ড পরে এটি মাটি থেকে মাত্র ৩ হাজার ২২৫ ফুট উপরে ছিল। এবং ৯৫ সেকেন্ডে বিমানটি প্রায় ২৬ হাজার ফুট নিচে পড়ে যায়।
১৫-২০ শতাংশ কাজ করছে কিডনি, দিল্লি এইমসে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে লালু-কে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দুর্ঘটনা তদন্ত বিভাগের প্রাক্তন প্রধান জেফ গুজেটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এভাবে বিমান ভেঙে পড়ার বিষয়টি খুবই অদ্ভুত৷ ইউএস-ভিত্তিক বিমান দুর্ঘটনা বিশ্লেষক রবার্ট মান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, চিনের এই দুর্ঘটনার তদন্তকারীদের ব্ল্যাক বক্স বা ডেটা রেকর্ডার প্রয়োজন হবে আদপে কী ঘটেছে তা বোঝার জন্য। তবে যেটুকু জানা গিয়েছে ব্ল্যাক বক্সগুলো এখনো উদ্ধার করা যায়নি। চিনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে দেশটির সরকার মঙ্গলবার এনিয়ে একটি আপডেট দিতে পারে৷
চিনের যে যাত্রী পরিবহনকারী বিমানটি ভেঙে পড়েছে তা বোয়িং ৭৩৭ গোত্রের। এই বিমানকে পরিবহনকারী বিমান মডেলগুলির মধ্যে অন্যতম নির্ভরযোগ্য বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞর। প্রসঙ্গত ভারতেও অসামরিক বিমান পরিবহনে এই বোয়িং ৭৩৭ ব্যবহার করে থাকে টাটা এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেটের মতো কোম্পানিগুলি৷